এই মুহূর্তে জেলা

এখনও প্রথা মেনে ডাকাতি করেই পুজোর আয়োজন হয় খানাকুলের ডাকাতকালীর।

মহেশ্বর চক্রবর্তী, ২৬ অক্টোবর:- হুগলি জেলার খানাকুলের চক্রপুরের ডাকাতকালির পুজো এ বছর ৩৫৬ বছরে পদার্পণ করলো। এখনও প্রথা মেনে ডাকাতি করে পুজোর আয়োজন হয়। তবে সেই ভাবে ডাকাতি না হলেও প্রথা মেনে রাতের অন্ধকারে ফল চুরি করে মায়ের কাছে নিবেদন করেন কালি ডাকাতের বংশ ধরেরা। ৩৫৬ বছর আগে এলাকায় কালি ডাকাত নামে পরিচিত হলেও কালিচরন মাঝি প্রথম এই কালিপুজোর প্রতিষ্ঠা করেন। তবে তথাকথিত ডাকাতি না হলেও এখন একশত ছাগ বলি হয়। জানা গেছে চক্রপুরের ডাকাতি কালির পাশাপাশি দুটি প্রতিমার পুজো হয়। কালি পুজোর দিন রাতে কালি ডাকাতের বংশধরের প্রথম মায়ের ঘট উত্তোলন করেন। তারপর পুরোহিত ঠাকুর আর একটি ঘট উত্তোলন করেন।দুটি ঘট মা কালির পায়ের নীচে বসিয়ে পুজোপাঠ হয়। কালি ডাকাতের বংশধরেরা বর্তমানে এই মা কালির পুজোর আয়োজন করেন।

এই বিষয়ে একজন বংশধর বলেন, প্রথা মেনে এই বছরও পুজো হবে। তবে ডাকাতি করে কালি পুজোর যে রীতি তা মানা হবে। তবে কেবল মাত্র রাতের অন্ধকারে ফল চুরি করে মায়ের পায়ে নিবেদন করা হবে। ডাকাতি প্রথা বন্ধ হয়ে গেছে।অন্যদিকে অনিমেষ পন্ডিত বলেন, আমাদের পুর্বপুরুষ এই কালি পুজোর সুচনা করেন। আমরা এখনও ঘট উত্তোলন করি।তারপর পুরোহিত ঠাকুর ঘট উত্তোলন করেন। পুজোর সমস্ত রীতি মানা হয়। ডাকাতি প্রথা বজায় রাখতে ফল চুরি করে আনা হয়। জানা গেছে এই ডাকাতি কালি পুজোকে কেন্দ্র করে ২০০ বছর আগে প্রথম মেলা বসে। প্রতি বছরই মেলা বসতো। এই বছর করোনা পরিস্থিতিতে সবই কাটছাঁট করা হয়েছে। বহু মানুষের সমাগম যাতে না হয় সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।তবে জাগ্রত এই ডাকাতি কালির পুজো রীতি মেনেই হবে বলে জানান কালি ডাকাতের বংশধরেরা।