হুগলি, ৩০ জুলাই:- দ্বারকেশ্বর নদীর জল বাড়ায় আতঙ্কে হুগলির আরামবাগ মহকুমার মানুষ।প্রায় ২৫০ ফুট উচ্চতায় দ্বারকেশ্বর নদীর জল প্রভাবিত হচ্ছে। গন্ধেশ্বরী নদীর জল ২৪৭ ফুট উচ্চতায় প্রভাবিত হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই নদীবাঁধ এলাকার মানুষ অস্থায়ী ভাবে উঁচু নদী বাঁধের ওপর ঘর তৈরি করে। এদিন সকালে দেখা যায় দ্বারকেশ্বর,মুন্ডেশ্বরি, রুপনারায়ন ও দামোদর নদীর জল পাড় উপচে এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করে। এরপরই নদীবাঁধ এলাকার মানুষ ত্রিপল টাঙিয়ে বাঁধে অস্থায়ী ঘর তৈরি করেন।পাশাপাশি টানা বৃষ্টির জলে আরামবাগ মহকুমার বিস্তৃর্ন এলাকা প্লাবিত হয়। গোঘাট, আরামবাগ, পুড়শুড়া ও খানাকুলের বেশ কিছু অংশ প্লাবিত। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকার মানুষকে সতর্ক করা হলেও আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বার্তা দেওয়া হয় এবং নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য বার্তা দেওয়া হয়।
আরামবাগের ওপর দিয়ে প্রভাবিত দ্বারকেশ্বর নদীর জল বাড়তে থাকায় মহকুমা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করে এলাকার মানুষকে সতর্ক করা হয়। উল্লেখ্য টানা তিন দিন বৃষ্টির জেরে দ্বারকেশ্বর নদীর জল বাড়তে থাকে। বিশেষ করে বাঁকুড়া জেলার পাহাড়ি এলাকার জল দ্বারকেশ্বর নদী দিয়ে প্রভাবিত হতে থাকে। এর জেড়ে দ্বারকেশ্বর নদীর জল বাড়ে এবং হুগলি জেলার আরামবাগের ওপর দিয়ে প্রভাবিত দ্বারকেশ্বর নদীর জলের তোড়ে বেশ কিছু বাঁশের সেতু ভেঙে যায়। জানা গিয়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে প্রায় ৪৭ হাজার ছয়শো কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এর জেড়ে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি জলের তলায়।
পাশাপাশি আরামবাগের চার থেকে পাঁচটি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়। নদী বাঁধ উপচে জল এলাকায় প্রবেশ করে। তাই আরামবাগ প্রশাসন বন্যাদুর্গতদের সুরক্ষিত রাখতে তৎপর হয়। জমা জল বের করার জন্য আরামবাগ পৌরসভার পক্ষ থেকে পাম্প চালানোর পাশাপাশি দমকল বিভাগের কর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেন। পাশাপাশি আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় তৎপরাতার সঙ্গে মানুষকে সুরক্ষিত করতে কাজ করে এবং উদ্ধার কার্য চালায়। প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ ব্লক ছাড়াও খানাকুল, গোঘাট ও পুড়শুড়া এলাকার বেশ কিছু অঞ্চলে অতিবর্ষনের ফলে নদী উপচে জল লোকালয় প্লাবিত করে। বেশ কয়েকটি বাঁশের সেতু জলের তোরে ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিছিন্ন হয়। সবমিলিয়ে দুর্গত মানুষদের নিরাপত্তার জন্য তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন।