এই মুহূর্তে জেলা

প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় আগাম প্রশিক্ষণ দিতে এনডিআরএফের প্রতিনিধি দল আরামবাগে।

মহেশ্বর চক্রবর্তী , ২৩ জুলাই:- বর্ষা এলেই একদিকে চাষীদের মুখে হাসি ফোটে এবং বৃষির জলে ভিজতে ভিজতে মাঠে ধান রোপনের কাজ চলে আর অন্যদিকে বন্যা প্রবন এলাকার মানুষের চিন্তায় ঘুম হয় না।কখন যে অতি বৃষ্টির কারনে বন্যার জলে ভেসে যাবে সবকিছু। এই সব অসহায় মানুষদের সুরক্ষিত করতে প্রায় এক কোম্পানির মতো এনডিআরএফের একটি প্রতিনিধি দল আরামবাগে নিয়ে এলো আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন। এরা মুলত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এলাকার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে নিরাপত্তা দেবে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গ ক্রমে উল্লেখ্য আরামবাগ মহকুমার ছয়টি ব্লকের মধ্যে চারটি ব্লক বন্যা প্রবন। গোঘাট এক নম্বর, খানাকুল এক ও দুই নম্বর, পুড়শুড়া ও আরামবাগ ব্লকে বন্যা হয়।

বিশেষ করে বন্যার জেড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় খানাকুলের দুটি ব্লকে। ঘরবাড়ি জলে তোড়ে ভেসে যাওয়া থেকে শুরু করে কৃষিজ ফসল নষ্ট হয়ে যায় এবং বন্যার জেরে খানাকুলে মানুষের প্রান যওয়ার পাশাপাশি কয়েক হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে যায়।তাই এই সব অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের পাশে দক্ষতার সঙ্গে উদ্ধারের কাজ করে কেন্দ্রীয় এনডিআরএফের দল।আগাম সতর্কতা হিসাবে আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন এই রখম একটি এনডিআরএফের দল মোতায়ন করে রাখে।এদিন এই এনডিআরএফের দলটি আরামবাগের কুটি পুকুরে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে প্রশিক্ষণ চালায়।

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় তারা কিভাবে প্রবল জলস্রোতে কাজ করবে সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ চলে। এই বিষয়ে এনডিআরএফের একজন ইন্সপেক্টর রাজকুমার শীল জানান, বর্ষার সময় যদি কোনও জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের এই টিম সেখানে উদ্ধার কার্য চালাবে। মানুষের পাশে থেকে দুর্যোগর সময় তাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাবে। এই জন্য এদিন আমরা কিছুটা প্র্যাক্টিস করলাম। সবমিলিয়ে এই রখম একটি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কেন্দ্রীয় এনডিআরএফের দল আরামবাগ থাকায় খুশি এলাকার মানুষ।