এই মুহূর্তে জেলা

হাওড়ায় শালিমার ওয়ার্কস পরিদর্শনে ফিরহাদ হাকিম।

হাওড়া, ১৪ জুন:- হাওড়ার শালিমার ওয়ার্কস পরিদর্শনে এলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এবার ওই সংস্থাকে লাভের মুখ দেখাতে তৎপর হলো রাজ্য সরকার। হাওড়ার শালিমার ওয়ার্কস লিমিটেড আগামী দিনে লাভের মুখ দেখবে বলে এদিন আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। হাওড়ার শালিমার ওয়ার্কস লিমিটেডের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার সকালে শালিমার ওয়ার্কস পরিদর্শনে আসেন তিনি। এদিন মন্ত্রী ওই সংস্থার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সহ পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের এমডি রাজেন বীর কাপুর। পরে ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমি এর আগে গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স অনেকবার গেছি যেহেতু আমি ওখানকার বিধায়ক। আমি শালিমার সম্বন্ধে অনেক শুনেছিলাম। এসে দেখলাম এর বিরাট পরিকাঠামো। কিন্তু আমাদের পশ্চিমবঙ্গ সরকারেরও পরিকাঠামো বিশাল। কিন্তু কোনও কারণে এই কোম্পানিটা চলছিল না। আমি এসে আমাদের সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলে আমি আইএএস রাজেন বীর কাপুরকে এখানকার দায়িত্ব নিতে বললাম।

শালিমার ওয়ার্কসের কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা কিছু অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এখানে করব। আর আমাদের সরকারের কাজগুলো যেমন ভেসেল রিপেয়ার, নতুন ভেসেল আনা প্রভৃতি এগুলো এবার থেকে আমরা এবার শালিমারেই করব। আমরা এতদিন বিভিন্ন কন্ট্রাক্টরকে দিয়ে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টকে দিয়ে এই কাজগুলো করাতাম। সেই কাজগুলো আমরা যদি সরকারের কাজ সরকারের মাধ্যম দিয়ে করি তাহলে শালিমার চলবে। এখানে বরাত দেওয়া অর্ডার এরা দিতে পারছে না বা ১৫ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। এখানে যে বোটগুলো পড়ে রয়েছে এগুলো আমরা আধুনিকীকরণ (লাক্সারি) করে কলকাতায় গঙ্গা ভ্রমণে জয় রাইডের কাজে লাগাব। এই পরিকল্পনার কথা আমি এনাদের আজকে জানিয়েছি।

আমরা যদি রি-স্ট্রাকচারিং এর বিষয়টা ঠিক করে দিতে পারি তাহলে আগামী দিনে শালিমার লাভের মুখ দেখবে। এবং রাজ্য সরকারের মুকুটে নতুন পালক যোগ হবে। সেইজন্যই আমরা শালিমার নিয়ে সিরিয়াস ভাবছি। এবং একজন তরুণ অফিসারকে এখানকার দায়িত্ব দিচ্ছি। প্রথম আমাদের কাজ হচ্ছে ফিনান্সিয়াল রি-স্ট্রাকচারিং করা। দ্বিতীয় কাজ হবে স্পেস ইউটিলাইজেশন করা। তৃতীয় কাজ হচ্ছে সরকারি কাজগুলোকে ধরে নিয়ে আসা। চতুর্থ কাজ হবে গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স এর বাইরের কাজগুলো ধরে নিয়ে আসা। তাছাড়া বেসরকারি কাজ প্রোজেক্টগুলোকে আমরা শালিমারের মাধ্যমে করানোর উদ্যোগ নিতে চাই। আমরা আশাবাদী সরকারি উদ্যোগেও এটা ভালোভাবে চালাব। এরা লাভবান হতে পারবে।”