হাওড়া,১ ফেব্রুয়ারি:- শিবপুর আইআইইএসটি’র প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী মেল মারফত র্যাগিংয়ের অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও তিনি এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় নির্দিষ্টভাবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাননি। এমনকি ওই ছাত্রী নিজের পরিচয় পর্যন্ত গোপন রেখেছেন। আদৌ এই খবর সঠিক কিনা, নাকি কেউ বা কারাও কোনও উদ্দেশ্যে এমন অভিযোগ এনেছেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে খবরটি ভুয়ো।সূত্রের খবর, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী দিনকয়েক আগে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের অ্যাণ্টি র্যাগিং পোর্টালে একটি অভিযোগ জানান। এরপরই আইআইইএসটি-র ডিরেক্টরের নেতৃত্বে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গত বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি বৈঠকে বসেন। সূত্রের খবর, অভিযোগকারী অভিযোগপত্রে নিজের পরিচয় এবং যারা তাকে রাগিং করেছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই লেখেননি। ফলে ধন্ধে রয়েছেন আইআইইএসটি কর্তৃপক্ষও।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান এটি একটি ভুয়ো অভিযোগও হতে পারে।আইআইএসটির তরফ থেকে জানানোর হয়েছে অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে শিবপুর আইআইইএসটি’র ডিরেক্টর ডঃ পার্থসারথী চক্রবর্তী জানান, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে আইআইইএসটি’কে সুনামকে কালিমালিপ্ত করার জন্য কেউ বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেও এই ধরনের একটি অভিযোগ জানিয়ে থাকতে পারেন। তবুও আমরা খবর জানার পর যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছি। সেই অভিযোগ নিয়ে এখানকার অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গত বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন। ওই বিভাগের সমস্ত ছাত্রীদের কাছেও আমরা বিষয়টি জানতে চাই। তবে এই ধরনের কোনও অভিযোগ তারা জানায়নি বলে আমরা জানতে পেরেছি। এটি আদৌ সত্যি কোনও অভিযোগ কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি তদন্ত শুরু করে। পরের দিন সমাবর্তন থাকা সত্বেও সেই অভিযোগ পেয়ে আমরা অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি বৈঠকে বসি। প্রাথমিক তদন্তে মনে কমিটির মনে হয়েছে এটা একটা মিথ্যা অভিযোগ। কেউ মজা করার বা সমস্যার সৃষ্টির জন্য এই ধরনের কাজ করেছে।অভিযোগকারীর পক্ষ থেকে কারও নাম উল্লেখ করা হয় নি বলে দাবি ডিরেক্টরের। তাঁর মনে হয়েছে এই ঘটনা এমন কারও মস্তিষ্কপ্রসূত যারা সমাবর্তন অনুষ্ঠান সুষ্ঠভাবে হোক চাইছে না।







