কলকাতা , ১৫ এপ্রিল:- রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের বাকি দফার ভোট গ্রহণ নির্ধারিত সূচি মেনেই অনুষ্ঠিত হবে বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। তবে প্রচার ও ভোট পর্বে করোনা বিধি যাতে কঠোর ভাবে মেনে চলা হয় সে ব্যাপারে প্রশাসন ও রাজনৈতিক দল উভয়কেই কঠোর ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।কোভিড পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতির চিত্র উঠে আসায় ও সামসেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থীর কোভিডে মৃত্যু হওয়ায় এদিন সকাল থেকেই জল্পনা ছড়িয়েছিল বাংলার বাকি চার দফা ভোট এক বা দুই দফায় হবে কিনা। যদিও সন্ধ্যায় কমিশন সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে, কোনও রদবদল হচ্ছে না বাকি চার দফার নির্বাচনে। যেদিন যেখানে ভোট হওয়ার কথা সেদিন সেখানেই ভোট হচ্ছে।
গোটা দেশজুড়েই হু হু করে বেড়ে চলেছে কোভিডের সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই গোটা মহারাষ্ট্রে লাগু হয়েছে লকডাউন। দিল্লিতে তা আগামিকাল থেকে চালু হচ্ছে। এই অবস্থায় এদিন সকাল থেকেই জল্পনা ছড়িয়েছিল বাংলায় বাকি চার দফা নির্বাচনকে কিছুটা এগিয়ে আনতে পারে কমিশন। সেক্ষেত্রে বাকি চার দফা একসঙ্গে একদফায় বা দুই দফায় করানো হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু এদিন সন্ধ্যায় কমিশন জানিয়ে দিয়েছে সেই পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনাই নেই। বাংলায় বাকি চার দফা নির্বাচন পূর্ব ঘোষিত সূচি মেনেই হবে। নির্বাচনী নির্ঘন্টের কোনও পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে না। কোভিড যতই চোখ রাঙাক না কেন আইনি জটিলতা, সময়াভাব, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ভোটকর্মীদের অভাবের জন্যই কমিশন ভোটের সূচি এগিয়ে আনতে পারছে না বলেই জানা যাচ্ছে।
দেশের জনপ্রতিনিধিত্বের আইনে বলা আছে একজন প্রার্থীকে কমিশন প্রার্থী হিসাবে মেনে নেওয়ার পর ১৪ দিন সময় তাঁকে দিতে হয় প্রচার করার জন্য। ভোটের সূচি এগিয়ে আনলে সেই প্রচারসময় পাবেন না প্রার্থীরা। আবার চার দফার ভোট একসঙ্গে এক বা দুই দফায় করতে গেলে যে সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী বা ভোটকর্মী লাগবে সেই পরিমাণ লোকও কমিশনের হাতে নেই। বিশেষ করে যে অতিরিক্ত দেড় হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবে তা যোগান দেওয়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষে অসম্ভব। আবার সেই শূণ্যস্থান পূরণ করতে কমিশন রাজ্য পুলিশকেও নিতে পারবে না। আর সব থেকে বড় বিষয় বাকি চার দফা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি কমিশন ইতিমধ্যেই প্রকাশিত করে দিয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার, তার বাতিল ও নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রপতির সন্মতি প্রয়োজন যা সময়সাপেক্ষ বিষয়। তাই কমিশন পূর্ব নির্ধারীত সময়সূচী অনুযায়ীই নির্বাচন করাবে বাংলায়। নতুন করে দিন এগোনো বা পিছানোর কোনও সম্ভাবনা নেই।