কলকাতা , ১৪ এপ্রিল:- রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার বিপজ্জনক ভাবে বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলির মিটিং-মিছিলে জনসমাগম নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কিন্তু, কোনও দল সে দিকে নজর না দেওয়ায় তাদের দায়িত্ববোধ নিয়ে উঠতে থাকে প্রশ্ন। ইতিমধ্যে, হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করেছে বিষয়টিতে। একটি রায়ে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচার হোক বা অন্য যে কোনও ক্ষেত্রে বড় ভিড় এড়াতে হবে। প্রচার সভা বা কর্মসূচিতে যাতে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় না হয় জেলাশাসক এবং রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিককে দায়িত্ব নিতে হবে সেটা দেখার জন্য।এমত অবস্থায় আদালতের নির্দেশ মেনে কোভিড বিধি মেনে পরবর্তী পর্যায়ের ভোট কিভাবে নির্বিঘ্নে সাঙ্গ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে নির্বাচন কমিশন আগামী শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল। দুপুর দুটোয় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দপ্তরে এই বৈঠক হবে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে একজন করে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এছাড়াও জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার ও কমিশনারেটকে অধীনে নির্বাচনে কভিড় প্রক্রিয়া মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বামেরা পরবর্তী দফার নির্বাচনের প্রচার কর্মসূচি সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেছেন, আগামী দফার ভোটের প্রচারে আর বড় আকারের কোনও জনসভা করা হবে না। কোভিড-বিধি মেনে ছোট আকারের পথসভা ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় যাতে অতিরিক্ত ভিড় না হয় এবং মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো কোভিড বিধি মেনে চলা হয়- সে ব্যাপারে জেলা নেতৃত্ব ও প্রার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ভূমিকার নিন্দা করে তিনি বলেন, এই দুই সরকারই করোনা নিয়ে উদাসীন। তাই তাঁদের দল আগামী দিনে মানুষকে সচেতন করে তুলবে। মানুষের পাশে দাঁড়াবে এবং অসহায় মানুষকে ত্রাণ দেওয়ার মতো কাজ করবে বলে মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের জারি করা বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে যাতে পালন করা হয়, সেটা দেখার নির্দেশ আগেই দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণনের ডিভিশন বেঞ্চ এই নিয়ে দায়ের হওয়া এক জনস্বার্থ মামলার রায়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচার হোক বা অন্য যে কোনও ক্ষেত্রে বড় ভিড় এড়াতে হবে। প্রচার সভা বা কর্মসূচিতে যাতে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় না হয় জেলাশাসক এবং রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিককে দায়িত্ব নিতে হবে সেটা দেখার জন্য। যদি কোথাও করোনা বিধি ভঙ্গ হয়, তার জন্য জেলাশাসক ব্যক্তিগত ভাবে দায়বদ্ধ থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।