এই মুহূর্তে জেলা

হাওড়ায় মনোনয়ন জমা দিলেন তৃণমূল , বিজেপি সহ বাম সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীরা।

হাওড়া, ১৯ মার্চ:- শুক্রবার হাওড়ায় মনোনয়ন জমা দিলেন তৃণমূল, বিজেপি, বাম কংগ্রেস সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীরা। তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ ঘোষ, ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় সিং, উমেশ রাই, বাম প্রার্থী ডাঃ জগন্নাথ ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা এদিন মনোনয়ন জমা দেন। এদিন বিজেপির মনোনয়ন পর্বে হাওড়ায় উপস্থিত ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য, অর্জুন সিং প্রমুখ নেতৃত্ব। বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় সিং বলেন, কর্মীরা প্রচন্ড উৎসাহে আছেন। আবেগ আছে তাঁদের মধ্যে। অরূপ রায় ১০ বছরের বিধায়ক, মন্ত্রী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। ওনার মাথার উপরে মুখ্যমন্ত্রী এবং ভাইপো রয়েছেন। অরূপ রায় বা তৃণমূল কংগ্রেস যাই বলুক না কেন, আমরা এবার পরিবর্তন আনছি। এই বিধানসভা নির্বাচনে আমরাই জিতব। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, গোটা বাংলায় সর্বত্রই উন্মাদনা।

সারা পশ্চিমবঙ্গের লোক ৪৪ বছর পর রাজ্যে একই সরকার দ্বারা পরিচালিত হবে। কেন্দ্রের বঞ্চনা, বৈমাত্রীসুলভ ব্যবহার শুনবে না। সংঘর্ষ নয়, সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকার চলবে। আধুনিক ভারতবর্ষের নতুন প্রজন্ম যেভাবে চলার স্বপ্ন দেখছে পশ্চিমবঙ্গ সেইভাবে চলবে। ২০০র বেশী আসন নিয়ে এবার সরকার গড়বে বিজেপি। যখন একটি দল বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যখন একটা ধারনা হতে শুরু করে যেখানে বিজেপি দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে সরকার গড়ছে, ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা আসছেন, বহু মানুষ দলে আসছেন।আগামী দিনে বিজেপি সংঘবদ্ধ হয়ে নির্বাচনী লড়াই করবে। অন্যদিকে, এদিন মনোনয়ন জমা দিয়ে ডোমজুড় কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ ঘোষ বলেন, ফাইটের কোনও ব্যাপার নেই। ওরা সব বুথে এজেন্ট দিতে পারবে কিনা তা দেখতে হবে।

আমি বিজেপি দলকে প্রতিদ্বন্ধী বলে মনে করতে পারছি না। ৩৫৪টা বুথে এজেন্ট যারা দিতে পারে না তাঁদের প্রতিদ্বন্ধী বলে মনে করাই অন্যায়। ২০১৬ সালের নির্বাচনে যা ফল হয়েছিল তার থেকে এবারের ফল ছাপিয়ে যাবে। তবে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। আমরা আগের থেকে মার্জিন বাড়াবার চেষ্টা করছি। ডোমজুড়ে মানুষ ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়েছিল। কোনও ব্যক্তিগত কাউকে নয়। ডোমজুড়ের মানুষ জোড়া ফুলে ভোট দিয়েছিলেন। কেউ যদি দলের সঙ্গে বেইমানি করে, গদ্দারি করে মানুষ তার প্রতিশোধ নেবে। আমি ফ্যাক্টর কিছু দেখতে পাচ্ছি না। সাধারণ মানুষ আমায় বলছে তুমি আবার দিদির সঙ্গে গদ্দারি করে চলে যাবে না তো। বিজেপি যত বেশী দিদিকে কটাক্ষ করবে মানুষের আশীর্বাদ ততো বাড়বে। আমরা ২২৫ টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসব।