এই মুহূর্তে কলকাতা

২৩ জানুয়ারি বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে।

কলকাতা , ৩ জানুয়ারি:- এখন প্রতি মাসে নিয়ম করে আসতে শুরু করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিয় শাহ। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ে যেতে চলেছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। জানা গিয়েছে, আগামী ২৩ জানুয়ারি বাংলায় আসছেন তিনি। মোদি নিজেই নাকি এই বিষয়ে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। অন্তত এমনটাই দাবি প্রদেশ কংগ্রেসের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর। যদিও রাজ্য বিজেপি সূত্রে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কেউ কিছুই জানেন না বলেই জানা গিয়েছে। এমনকি রাজ্য প্রশাসনের কাছেও এই নিয়ে কোনও খবর নেই। একই সঙ্গে অধীরের সঙ্গে মোদির এই সখ্যতা প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ এবং বাম শিবিরও খুব একটা ভালো চোখে নিচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে।

প্রদেশ কংগ্রসের একাংশের দাবি, অধীরবাবু নাকি এদিন ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা দেওয়ার জন্য। সেই সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন মোদি কবে বাংলায় আসছেন। তার উত্তরে মোদি নিজেই জানিয়ে দেন ২৩ জানুয়ারি বাংলায় আসছেন। আর গোটা দেশের মানুষ জানেন ২৩ জানুয়ারি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। এবারে তাঁর ১২৫তম জন্মবার্ষিকি উদযাপিত হতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে কলকাতায় এলগিন রোডে নেতাজীর বাড়িতে এসে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করতে পারেন মোদি। সেই সঙ্গে ওই দিন কলকাতা থেকেই বছর ভর নেতাজীর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী পালনের অনুষ্ঠানেরও শুভসূচনা করতে পারেন তিনি। তবে এই বিষয়ে কেন্দ্র নবা রাজ্য সরকার কেউ কিছুই ঘোষণা করেনি। যেহেতি চলতি বছরেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে তাই নেতাজীকে নিয়ে এবারে বেশ ভালই বাড়তি উৎসাহ দেখাচ্ছে গেরুয়া ব্রিগেড। ২৩শে জানুয়ারিতে মোদির কলকাতায় আসা সেই বাড়তি উৎসাহেরই অঙ্গ বলে অনেকে মনে করছেন।

তবে অধীরের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা ভালো ভাবে নিচ্ছে না খোদ প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, অধীর তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং কংগ্রেসের পিঠে ছুরি মেরে তিনি মক্ষোম সময়ে বিজেপিতে গিয়ে যোগ দেবেন। যদিও এই ধরনের অনুমান যে চূড়ান্ত রকমের ভ্রান্ত তা বারে বারেই জানিয়েছে অধীর নিজেই। তবে ভোটের মুখে অধীরের এই মোদিপ্রীতিকে ভাল চোখে দেখছে না বামেরাও। তাঁদের বক্তব্য, অধীর ও তাঁর অনুগত শিবির কার্যত ইচ্ছাকৃত ভাবে বাম-কংগ্রেস জোটকে ঘেঁটে দিতে চাইছেন যাতে কোনও ভাবেই তা সুদৃঢ় না হয়। তাই অধীরের এই মোদিপ্রীতি শুধু শুভেচ্ছা জানানোর জন্য নয় বলেই তাঁদের অভিমত।