এই মুহূর্তে জেলা

দলের দুই শীর্ষ নেতার বাগযুদ্ধে অস্বস্তিতে তৃণমূল।


হুগলি , ২০ নভেম্বর:- বর্তমানের কোন জন প্রতিনিধি রাজনীতির বাইরে আমার ও আমার পরিবার নিয়ে যদি অশালীন মন্তব্য করে আপনারা কী সমর্থন করবেন? শুক্রবার বলাগরে একটি বস্ত্রদানের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এভাবেই উপস্থিত মানুষের মধ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূলের বিতর্কিত নেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রত্যুত্তরে কর্মসূচিতে হাজির লোকজন চিৎকার করে ‘না’ ধ্বনি দিয়ে জানিয়ে দেন তারা এই ধরনের মন্তব্য সমর্থন করেন না। এরপরেই শুভেন্দু বলেন, হুগলি জেলার একটা ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রয়েছে।সিপিএমের প্রয়াত সাংসদ অনিল বসুর নাম করে শুভেন্দু বলেন,প্রাক্তন সাংসদ কাউকে ব্যাক্তিগত আক্রমণ করে অশালীন মন্তব্য করে ছিলেন। মানুষ কিন্তু তখন মেনে নেয়নি।

প্রসঙ্গত সাম্প্রতিক কালে তৃণমূলের অন্দরে শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনার মেঘ তৈরি হতেই শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শেওড়াফুলিতে শুভেন্দুর নাম না করে তাকে ও তার পরিবারকে আলু বেচতে হত বলে কটাক্ষ করেছিলেন। কল্যাণের পালটা জবাব কায়দা করেই এ দিন শুভেন্দু দিয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ দিন পাল্টা কল্যাণ বলেন, আমার বাবা রাজনৈতিক কর্মী সেই পরিচয়ে আমি রাজনীতিতে আসিনি। আমি লড়াই করেই উঠে এসেছি। নন্দীগ্রামে লড়াই আন্দোলন হলেও আদালতের মাধ্যমে সি বি আই তদন্ত না হলে কেউই সেখানে বেরতে পাড়ত না। আর একজন দলের সহকর্মী হয়ে যে সাংসদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তাতে স্পষ্ট অন্যদলের সঙ্গে সেই নেতার আঁতাত রয়েছে।