এই মুহূর্তে জেলা

বনধ সমর্থনকারীদের নিঃস্বর্থভাবে মুক্তির জন্য কোচবিহারে বিক্ষোভ দেখাল ডিএসও।

 

 কোচবিহারয়,৯ জানুয়ারি:- বনধ সমর্থনকারীদের উপর পুলিশের অমানবিক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়। সেই বনধ সমর্থনকারীদের নিঃস্বর্থভাবে মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ দেখাল এসইউসিআইয়ের ছাত্র সংগঠন অল ইন্ডিয়া ডিএসও কর্মীরা। বৃহস্পতিবার কোচবিহার আরক্ষা ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পাশাপাশি এদিন তাঁদের কর্মীদের নিঃশর্তে মুক্তির দাবীতে পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, দেশের সংবিধান বিপন্ন, দেশের শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ সংকটাপন্ন এই অবস্থায় রুটি রুজি এবং নাগরিকতা রক্ষার স্বার্থে এই ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান বনধ সমর্থনকারীরা। গতকাল সকাল থেকেই বনধের সমর্থনে বাম কর্মী সমর্থকদের শুরু হয় মিছিল। এই বনধে এই জেলায় দোকান,বাজার,হাট সহ বেসরকারি পরিবহণ ছিল বন্ধ। তবে, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের বাস চলেছে নির্দিষ্ট রুটে সময়মত। এই বাস চলাচল বাধা দিতে গেলে পুলিশের সাথে বচসায় জড়িয়ে পরে বনধ সমর্থন কারীরা।

There is no slider selected or the slider was deleted.


এদিকে আর সেই বনধকে সফল করতে সেই বনধে সামিল হয়েছিল এসইউসিআইয়ের ছাত্র সংগঠন অল ইন্ডিয়া ডিএসও-য়ের কর্মীরা। গতকাল সাগরদিঘী সংলগ্ন এলাকার স্টেস্ট ব্যাঙ্কের সামনে ধর্মঘটের সমর্থনে বসে ওই কর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কোচবিহার কোতোয়ালী থানার পুলিশ। এরপরই পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে তুলতে গেলে তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। এরপর বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে তুলে আটক করে পুলিশ।  এবিষয়ে ডিএসওর কোচবিহার জেলা সভাপতি স্বপন কুমার বর্মণ বলেন, ১২ দফা দাবি সহ ২০১৯ জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিলের দাবীতে গতকাল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বামপন্থীরা।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                  আর সেই ধর্মঘটের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখান আমাদের সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা। ঠিক সেই সময় পুলিশ আমাদের ছাত্রছাত্রীদের উপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয় বলে জানান তিনি। পাশাপাশি জেএনইউ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে এবিভিপি। শুধু তাই নয়, এনআরসি ও ক্যা-এর নামে বিভাজনের রাজনীতি করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। যাকে মদত যোগাচ্ছে রাজ্য সরকার এমনই অভিযোগ করেন তিনি।  তিনি আরও বলেন, এদিন পুলিশ আমাদের ছাত্রছাত্রীদের অমানবিকভাবে অত্যাচার করে মিথ্যা মামলায় জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দিয়েছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে নিঃস্বর্থভাবে আমাদের কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।

There is no slider selected or the slider was deleted.