সুদীপ দাস , ৩০ অক্টোবর:- রাত পোহালেই কোজাগরীর আরাধনায় মাতবে আপামর বাঙালী। বাঙলার ঘরে-ঘরে লক্ষ্মী পুজোর চল সুপ্রাচীন কাল থেকে। কিন্তু করোনা মরসুমে ঘরের এই পুজোতেও কাঁটছাট বাঙালীর। ঘরোয়া মা লক্ষ্মীর আরাধনায় আড়ম্বর বলতে যতটুকু বোঝায় এবার সেখানেও অনারম্বরের ছোঁয়া। সৌজন্যে অবশ্যই চিন থেকে উত্থান হওয়া কোভিড-১৯। করোনা ভাইরাসের জেরে একটানা লকডাউনের “অর্থনৈতিক কুফল” এখনও বর্তমান। প্রতিদিনের বাজারে যার প্রভাব অব্যাহত। লক্ষ্মী পুজোর বাজারেও যার অন্যথা হয়নি।
আজ লক্ষ্মীবারেও আকাশছোঁয়া বাজার দর। পুজোর জন্য ব্যাবহৃত ফল, ফুল সবকিছুর দরেই আগুন। কিন্তু লক্ষ্মী পুজো যে, না করলেই নয়; তাই এবারে নমঃ নমঃ করে হলেও পুজোটা সারতেই হবে। তাই পুজোর আগের দিন সকাল সকাল ব্যাগ হাতে পুজোর বাজার করতে বেরিয়ে পরেছেন বাঙালীরা। চুঁচুড়া রবীন্দ্রনগর বাজারের নাম রয়েছে লক্ষ্মী পুজোর বাজারের জন্য।
জিটি রোডের দু’ধারে সারি সারি লক্ষ্মী ঠাকুর, সরা সহ পুজোর সরঞ্জাম নিয়ে বসেছেন ব্যাবসায়ীরা। ঠাকুর বিক্রেতাদের মতে এবারে এমনিতেই বড় লক্ষ্মী ঠাকুর কম বানিয়েছে মৃৎশিল্পীরা। তাই বড় ঠাকুর যেকটা পেয়েছি এনেছি। কিন্তু মানুষের লক্ষ্মীর ভান্ডারে অভাব দেখা দেওয়ায় বড় ঠাকুরের চাহিদা একেবারেই নেই। সবাই ছোট ঠাকুরের দিকেই ঝুকছেন। ক্রেতাদের মধ্যে অনেকের বক্তব্য যতই সমস্যা থাকুক লক্ষ্মী পুজো করতেই হবে, তাই বাজারে আসা। তবে গতবারের তুলনায় এবার না করলেই নয়! কারোর-কারোর বক্তব্য পরিমানে কম কিনে মায়ের আরাধনা করবো। মায়ের কাছে এবারে একটাই আবেদন মা সবার আগে করোনা থেকে মুক্তি দিও !!!!