স্পোর্টস ডেস্ক , ৪ অক্টোবর:- শারজার ছোট মাঠে পাটা উইকেটে রানের বন্যা। তবে লড়াই করেও শেষ রক্ষা হলনা কেকেআর এর। ব্যর্থ হল মর্গ্যান এবং রাহুল ত্রিপাঠির দুরন্ত লড়াইও। ২২৮ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ১৮ রান দূরেই থেমে যায় কলকাতার ইনিংস। দিল্লির হয়ে দুরন্ত ব্যাটিং করলেন অধিনায়ক শ্রেয়স এবং পৃথ্বীর। এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। কিন্তু অন্যান্য ম্যাচের মতো এদিন শুরুতে উইকেট পাননি KKR বোলাররা। দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী এবং শিখর ছিলেন মারমুখী মেজাজে। প্রথম থেকেই ওভার প্রতি দশরান তুলছিলেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত বরুণ চক্রবর্তীর বলে আউট হন ধাওয়ান।
তবে এরপর পৃথ্বী এবং অধিনায়ক শ্রেয়স দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। পৃথ্বী আউট হওয়ার আগে করেন ৪১ বলে ৬৬ রান।তিনি আউট হওয়ার পন্থের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন শ্রেয়স। ১৭ বলে ৩৮ রান করে পন্থ আউট হয়ে গেলেও মাত্র ৩৮ বলে ৮৮ রান করে অপরাজিত থাকেন দিল্লি অধিনায়ক। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কিন্তু চাপে পড়ে যায় কেকেআর। ৩ রানে আউট হয়ে যান নারিন। গিল অন্যান্যদিনের মতো ভাল শুরু করেছিলেন। কিন্তু ২৮ রান করে আউট হয়ে যান। অন্যদিকে, রানা দলের হাল ধরলেও এদিনও ব্যর্থ হন অধিনায়ক কার্তিক (৬)। এমনকী ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেননি ক্যারিবিয়ান তারকা রাসেলও (১৩)। কিন্তু দিনটা বোধহয় ছিল মর্গ্যান–ত্রিপাঠির।
না হলে শেষ চার ওভারে যেখানে দরকার ছিল ৭৮ রানের, সেখানে পরপর দু’ওভারে আসে ৪৭ রান। ফলে শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য কেকেআরের প্রয়োজন দাঁড়ায় ৩১ রান। কিন্তু ১৯ তম ওভারে আগুনে ফর্মে থাকা মর্গ্যানকে আউট করেন নর্ৎজে। আউট হওয়ার আগে অবশ্য দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে এনেছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ১৮ বলে ৪৪ রানের মধ্যে মর্গ্যান একটি চার ও পাঁচটি ছয় মেরেছেন। মর্গ্যান আউট হওয়ার পর ১৯ তম ওভারে আসেও মাত্র পাঁচ রান। ফলে শেষ ছয় বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৬ রানের। কিন্তু প্রথম বলে চার মারলেও পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান রাহুল ত্রিপাঠি। ফলে তাঁর ১৬ বলে ৩৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসটি ব্যর্থ হয়। ফলে এদিন হার মানতেই হল কেকেআর-কে। ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষে দিল্লি।