হুগলি, ২৪ অক্টোবর:- হিন্দমোটরে অফিস খুলে বসে বাংলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা এবং ভিনরাজ্যের বহু মানুষের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে কয়েকশো কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ। ইতিমধ্যে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ প্রতারক সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মূল অভিযুক্ত হিসেবে যার নাম উঠেছে, সেই পরিমল মণ্ডল পলাতক। উদ্ধার হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের চিঠির ফটোকপি এবং একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে পরিমলের নানা সময়ের ছবি। মনে করা হচ্ছে, চাকরি দেওয়ার নামে যা প্রচার করা হচ্ছিল, তাকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতেই এসব রাখা হয়েছিল অফিসে। এর নেপথ্যে বড় কোনও মাথা আছে বলে ধারণা তদন্তকারীদের। শুক্রবার সকালে আচমকাই হিন্দমোটরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অফিসের সামনে জড়ো হন বহু মানুষ। তাঁরা টাকা ফেরতের দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। প্রথমে কিছু বোঝা না গেলেও পরে অশান্তি বাড়তে থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। জানা যায়, রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে এই সংস্থা নানা সময়ে নানা লোকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেছিল।
অফিসের প্রধান কর্মকর্তা পরিমল মণ্ডল নামে একজন। বলা হয়েছিল, অফিসে ই-শ্রম পোর্টালের মাধ্যমে ওই কাজ করা হয়। নিজেদের কাজকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে অফিসে পরিমলের সঙ্গে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছবি টাঙানো ছিল। ছিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর-সহ নানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সই করা চিঠিও। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা বুঝতে পারেন রেলে চাকরির প্রলোভনে পা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আড়ালে আসলে কোনও কাজ হয় না, জনগণের অর্থ আত্মসাতে একটা চক্র মাত্র। তা বুঝতেই শুক্রবার তাঁরা চড়াও হন ওই অফিসের সামনে। টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামলায়। বিক্ষোভকারীদর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারক সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। যদিও মূল অভিযুক্ত পরিমল মণ্ডল পলাতক। ওই অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে মূল প্রতারক পরিমল মণ্ডলের ছবি, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের চিঠির ফটোকপি। সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।









