এই মুহূর্তে জেলা

পাড়ায় সমাধানে কাঞ্চন মল্লিক।

হুগলি, ৩০ আগস্ট:- “হাতের পাঁচটা আঙুল সমান নয়। যারা বলছেন আমাকে দেখা যায় না,তাদের অনুষ্ঠানেই আমি এসেছি। সেই ছবি গোল গোল দাগ করে দেখিয়ে দিয়ে বলবো এই যে আমি”। পাড়ায় সমাধান কেমন চলছে তা দেখতে উত্তরপাড়ায় আসেন পুরো নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেদিন স্থানীয় বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে দেখা যায়নি। উত্তরপাড়ার তৃনমূল কর্মি কাউন্সিকরদের একাংশের অভিযোগ ছিল কাঞ্চনকে দেখা যায়না। তাকে সিনেমায় শুটিং এ দেখা যায় কিন্তু বিধায়ক হিসাবে উত্তরপাড়ার মানুষ তাকে পায়না। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই একটি সিনেমার শুটিং এ দেব মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে অভিনেতা কাঞ্চন উত্তরপাড়ায় এসেছিলেন। উত্তরপাড়ায় বহিরাগত বিধায়ক নিয়ে উত্তরপাড়া বাসী এমনকি শাসকদলের কর্মিদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। আজ উত্তরপাড়ার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে পাড়ায় সমাধানে এসে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, যেদিন উত্তরপাড়া থেকে বিদায় নেব সেদিন বিদায় সম্ভাষণে উত্তরপাড়ার মানুষের সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বলে দিয়ে যাব।

২৬ এ আবার কাঞ্চন মল্লিক কে উত্তর পাড়ার মানুষ পাবে কিনা এ প্রশ্নে অভিনেতা বিধায়ক বলেন, আমি জানিনা। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহবানে আমি এসেছিলাম। তার আহ্বান এলেই চলে যাব। সিপিআইএম হুগলি জেলা কমিটির সদস্য আভাস গোস্বামী বলেন, অবশেষে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান শিবিরের বিধায়ককে দেখা গেল। এই শিবিরের মাধ্যমে বিধায়ককে খুঁজে না পাওয়ার যে সমস্যা তার সমাধান হবে কিনা জানিনা। তবে উত্তরপাড়ার মানুষের যে সমস্যা সেই সমস্যা দূর করতে ভূমিকা বিধায়কের দেখা যায়নি। রাস্তাঘাটের অবস্থা বেহাল জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের। কাঁঠালবাগান এলাকায় একটা আন্ডার পাস বা ওভারব্রিজের দাবি নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য হয়নি। কাঞ্চন মল্লিক বলেন, পাড়ায় সমাধানে মানুষ তাদের সমস্যা নিয়ে আসছে। তারাই ঠিক করছে কোন কাজটা আগে করতে হবে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সেই কাজ হবে।