হুগলি, ৭ জুলাই:- হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ত্রিশটি ওয়ার্ড।এক নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম এর কাউন্সিলর।বাকি ২৯ টায় তৃনমূল কাউন্সিলর রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে পুরসভার অস্থায়ী শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছে। তাদের দাবী,মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে। পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৬৫ বছর হয়ে গেছে এমন শ্রমিকদের বসিয়ে দেওয়া হবে। শ্রমিকদের দাবী যারা অবসর নেবে তাদের এক কালীন পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। পুরসভা দাবী না মানায় গত সপ্তাহে বোর্ড মিটিং এ চেয়ারম্যান সহ কাউন্সিলরদের গভীর রাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখে শ্রমিকরা। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। দাবী পূরন না হলে কাজ নয় হুশিয়ারী দেয় শ্রমিকরা। এমতাবস্থায় নাগরিক পরিষেবা নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ। শহরের ঘড়ির মোর, পিপুলপাতি, তোলাফটক, কামারপাড়া, তালাডাঙা, খাদিনামোর, মিয়ারবেড়, ব্যান্ডেল, ইমামবাড়া, চকবাজার সহ সর্বত্র আবর্জনার স্তুপ জমেছে।
পুরসভার ভ্যাট ভুগছে রাস্তায় চলে এসেছে সেই বর্জ্য। মাছি ভনভন করছে। বৃষ্টির জল পেয়ে পঁচছে আলুর খোসা থেকে মাছের আঁশ। একেবারে নরকে পরিনত হয়েছে রাস্তাঘাট। দিনের পর দিন নানা ইসুতে পুরসভায় আন্দোলন হয়। যার ফলে ব্যহত হয় পরিষেবা।এমনিতে প্রয়েজনের অতিরিক্ত শ্রমিক কর্মচারীদের মজুরি বেতন দিতে ভাঁড়ে মা ভবানী পুরসভার। গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়ে শ্রমিকদের কর্মবিরতি। আর কয়েক মাস পরে বিধানসভা ভোট তার আগে চুঁচুড়া পুরসভার অচলাবস্থা সমস্যায় ফেলতে পারে শাসকদলকে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।গত লোকসভা নির্বাচনে চুঁচুড়া বিধানসভায় প্রায় সারে আট হাজার ভোটে বিজেপির থেকে পিছিয়ে রয়েছে তৃনমূল।
নাগরিক পরিষেবা নিয়ে যে ভাবে ক্ষোভ বাড়ছে পাশাপাশি পুরসভার প্রায় দুই হাজার অস্থায়ী কর্মচারী ও তাদের পরিবার যে ভাবে পুর প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ তার ফল কি হবে তা এখনই ভাবতে হবে শাসক দলকে। শহরবাসীরা জানান,রথ মহরম পার হয়ে গেলো পুরসভার কর্মিরা কাজ না করায় জঞ্জাল পরিষ্কার হচ্ছে না। কাউন্সিলরদের বলেও লাভ হচ্ছে না। আন্দোলনকারী বলেন অস্থায়ী শ্রমিক নিয়ে আসিস চক্রবর্তী ও রাধেশ্যাম শঙ্খ বনিক বলেন,শহরবাসী সমস্যায় আছে শহর জঞ্জালে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে, আমরাও এই শহরে বাস করি।আমাদের সমস্যা আরো একটু বেশি।সেটা হল পেটের জ্বালা। কারণ আমরা সঠিক বেতন পাচ্ছি না।
৬৫ বছরের কর্মীদের হঠাৎ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা মানসিক দুশ্চিন্তায় রয়েছে। আমরা চাইছি কর্তৃপক্ষ সদিচ্ছা নিয়ে এই সমস্যার সমাধান করুক।না হলে শহর এরকমই থাকবে। বিজেপি নেতা স্বপন পাল বলেন,অপদার্থ পুরপ্রশাসন হলে শহরবাসীর কষ্টের শেষ থাকেনা। চুঁচুড়া পুরোসভা তার উদাহরণ। কতদিন হয়ে গেলো পুরোসভার অচলাবস্থা কাটাতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের পুরো বাড়ির সব জয়দেব অধিকারী বলেন, শহরের প্রধান সড়কগুলোতেই আবর্জনা স্তূপ জমে আছে। রাত গেল মহরম গেল তার একটা অতিরিক্ত আবর্জনা তৈরি হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন চলছে।আমরা সবাই চাইছি সমস্যাটা যাতে দ্রুত মেটে।