এই মুহূর্তে জেলা

ফুরফুরায় ইফতার পার্টিতে এসে একগুচ্ছ কর্মসূচির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।

হুগলি, ১৭ মার্চ:- ফুরফুরা শরীফে এলেন রাজের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘন্টাখানেকের তার এই সফরে তিনি একদিকে যেমন পীরজাদা দের সাথে কথা বললেন। একই সাথে যোগ দেন ইফতার পার্টিতে। মূলত দীর্ঘদিন বাদে তার এই ফুরফুরা শরীফের সফরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে প্রত্যাশা ছিল। সেইমতো তিনি জানান ইতিমধ্যেই ফুরফুরা শরীফের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উন্নয়ন হয়েছে, যেগুলো তিনি আজকেই সূচনা করেন পাশাপাশি হাসপাতাল পলিটেকনিক কলেজ সহ প্রস্তাবিত কয়েকটি প্রকল্পের কাজের কথা তিনি জানান। পাশাপাশি তিনি জানান তিনি ফুরফুরায় যেমন ইফতার পার্টিতে এলেন একইভাবে দোল পূর্ণিমা, গুরুপূর্ণিমা সহ অন্যান্য কর্মসূচিতে ও যোগদান। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে খুশি এখানকার ধর্মগুরুরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন আমি যখন দুর্গাপুজো করি তখন তো এই প্রশ্ন করেন না আমি যখন কালীপুজো করি তখন তো এই প্রশ্ন করেন না আর জেনে রাখুন আমি খ্রিস্টানদের উৎসবেও যাই আমি ঈদ মোবারকও যাই আমি ইফতার নিজে করি রোজাতেও যাই ইফতারেও যায় ঈদেও যাই আমি পাঞ্জাবীদের গুরুদোয়ারেও যাই গুজরাটিদের ডান্ডি নাচেও যাই দোল পূর্ণিমাতেও যাই মহাবীর জৈন এর কাছেও যাই আমি মনে করি বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাটি আমি এই রমজান মাসে যেমন দোল হোলির মোবারক জানিয়েছি আমি তেমনি রমজান মাসে সকলের রোজা আল্লাহ কবুল করুক আমি সকলের হয়ে দোয়া প্রার্থনা করি।

সবাই শান্তিতে থাকুন সম্প্রীতি এটাই আমাদের বার্তা সবাইকে ভালো রাখার জন্য। পলিটেকনিক কলেজ যখন তৈরি হবে আমি চাই এখান থেকে সব স্কিল ট্রেনিং নিক ছেলেমেয়েরা তাতে কি হবে তারা ভবিষ্যতে চাকরি-বাকরি পাবে। সেই জন্যই পলিটেকনিক কলেজ টা যখন হবে তখন আবু বক্কর সাহেবের নামেই হবে আর হসপিটালটাও যখন হবে তখন ওনার নামই হবে। যে একশ বেডের হাসপাতাল টা তৈরি হয়েছে ওটা। তার কাজ অনেকটাই এখন হয়ে গেছে শেষের দিকে। কিন্তু যেহেতু আপনারা জানেন ওবিসি রিজার্ভেশন বিল টা আটকে আছে কোর্টে। এবং আমার তৈরি করার লিস্ট থাকা সত্ত্বেও ডাক্তার নার্সদেরও আমরা এপয়েন্টমেন্ট করতে পারছি না। একটা হসপিটাল তো এমনিতে হয়ে যায় না সেখানে ডাক্তারি দিতে নার্স দিতে হয় যখন এগুলো হয়ে যাবে এবং পলিটেকনিক কলেজ টা হয়ে গেলে ওটাও আবু বক্কর সাহেবের নামেই হবে।