এই মুহূর্তে জেলা

হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক, নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা।

হাওড়া, ৬ মার্চ:- বুধবার হাওড়ার সাঁকরাইলের গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ওই হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন এবং সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পাল জানান, বড় হাসপাতালে নিরাপত্তা কর্মী থাকলেও ছোট গ্রামীণ হাসপাতালে নিরাপত্তা কর্মী সেভাবে নেই। ফলে ডাক্তার এবং নার্সরা নিরাপত্তা কর্মী ছাড়াই রাতে হাসপাতালে চিকিৎসা করেন। এদিনের আলোচনার পর নিরাপত্তা নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তগুলি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠানো হবে। এর পাশাপাশি পুলিশকেও অনুরোধ করা হবে যাতে হাসপাতালের নজরদারি আরও বাড়ানো হয়। বুধবার বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ডেপুটি সিএমওএইচ এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সদস্যরা গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যেই জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে এই রিপোর্ট জমা পড়বে। সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে স্বাস্থ্য দপ্তরে। প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে সাঁকরাইলের ওই গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে এক রোগীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কল্পিত পাশী (৬৪) নামের এক বৃদ্ধা অসহ্য পেটের যন্ত্রণা নিয়ে একাই ডাক্তার দেখাতে আসছিলেন সাঁকরাইলের গ্রামীন হাসপাতালে। হাসপাতালে গেটের সামনে অসুস্থতা বাড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসক তাকে ওষুধ এবং ইনজেকশন দেওয়ার পর পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বেডে শুইয়ে রাখেন। সারারাত ওই বৃদ্ধা হাসপাতালেই ছিলেন। এরপর তার বাড়ির লোকজন হাসপাতালে ওই বৃদ্ধার সঙ্গে দেখাও করে যান। এরপর বুধবার সকালে ওই বৃদ্ধা হাসপাতাল থেকে একাই বেরিয়ে যান। তার বেরিয়ে যাওয়ার ছবি সিসিটিভি ক্যামেরা বন্দি হয়। এর কিছুক্ষণ বাদে হাসপাতালের গেটের কাছে রাস্তার ধারে তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তার ছেলের অভিযোগ রাতে মায়ের চিকিৎসা হাসপাতালে হচ্ছিল। কিভাবে সে হাসপাতালের বাইরে মারা যান ? এই মৃত্যুর জন্য হাসপাতালের কর্মীদের গাফিলতির অভিযোগ করেন।