এই মুহূর্তে জেলা

গরীব মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, আর বগা কাঞ্চনের জন্য ছ-লাখ কটাক্ষ সুকান্তর।

হুগলি, ২৫ ডিসেম্বর:- বুধবার দুপুরে স্বামীজির নেতাজি সেবা সংঘের আয়োজনে শেওড়াফুলিতে রক্তদান শিবিরে এসে হাজির হন ভারতের প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই রাজ্য সরকারকে বিভিন্ন দিক থেকে তোপ দাগলেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে সুকান্ত মজুমদার বলেন কাঞ্চন মল্লিক বিধানসভা কেন ছ লাখ টাকা বিল জমা দিলেন এর উত্তর মুখ্যমন্ত্রীও দিতে হবে ।উনি তো সবসময় বলে বেড়ান স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রয়েছে। গরিব মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আর বগা কাঞ্চনের জন্য ছ লাখ এটাতো চলতে পারে না। বগা কাঞ্চনের মেয়ে হয়েছে তার জন্য তাকে শুভেচ্ছা জানাই । কিন্তু তার জন্য তিনি জনগণের ছ লাখ টাকা ধ্বংস করবেন এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। উনার জন্য তো স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকতে পারতো।

বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে কামালগাছি মোড় থেকে ক্যানিং গোসাবা পর্যন্ত দুটি রাস্তায় জঙ্গিদের হাতে। গোসাবায় ১৩ টি দ্বীপের মধ্যে একটিতে বিএসএফ ক্যাম্প বাকি কোথাও কিছু নেই পুরো মুক্তাঞ্চল এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন বাংলাদেশী যেই শক্তিগুলো যারা বাংলাদেশকে অশান্ত করেছে যারা হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙছে, মন্দির ভাঙছে, হিন্দু মেয়েদের ইজ্জত নেওয়ার চেষ্টা করছে শ্রীলতাহানি করছে সেই শক্তিদের পরিপূরক শক্তি বাংলার উত্তর ২৪ পরগনা,দক্ষিণ 24 পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদা বিভিন্ন জায়গায় ঘাঁটি গেড়েছে। কামালগাছি রাস্তাটাও তার মধ্যেই পড়ে। এবং বিএসএফের ক্যাম্প নেই একথা ভুল বরং বিএসএফকে ক্যাম্প করতে দেয়া হচ্ছে না আজ থেকে ঠিক ২ বছর আগে অমিত শাহ জিকে গালিগালাজ দেওয়ার পরেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে গিয়েছিলেন

এবং সেখান থেকে বেরিয়ে এসে বলেছিলেন আমি ৭২টি বিএসএফের আউটপোস্টের জন্য জমি চেয়েছি রাজ্য সরকার সে জমি আজ পর্যন্ত দেয়নি শুধু তাই নয় পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া পর্যন্ত নেই কারণ রাজ্য সরকার জমি দিচ্ছে না। তৃণমূল কংগ্রেস উদ্দেশ্য প্রণীতভাবে এমন পরিবেশ তৈরি করছে যাতে বাংলায় ক্রমাগত অনুপ্রবেশ বাড়ে তার সাথে সাথে বাংলার জনবিন্যাস পরিবর্তন হয় এবং বাংলাকে পশ্চিম বাংলাদেশে রূপান্তরিত করা যায় সেই চেষ্টায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে করা হচ্ছে সেই জন্যই বিএসএফের ক্যাম্প হচ্ছে না। ইউনূসের রোহিঙ্গা কাটা! ইউনূসের বিরুদ্ধে ক্রমেই সুর চরাচ্ছে বাংলাদেশ। সুর চরাচ্ছে রাজনৈতিক দল থেকে সাধারণ মানুষ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের কাছে মাথাব্যথা রোহিঙ্গা এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে রোহিঙ্গাদের একসময় বাংলাদেশ স্থান দিয়েছিল যদিও রোহিঙ্গারা সেটাকে ট্রানজিট রুট হিসাবে

ব্যবহার করেছিল এবং পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী রোহিঙ্গাদেরকে সল্টলেক সমেত দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভিন্ন জায়গায় শেখ শাহজাহানের থেকে শওকত মোল্লা নিজেদের ধর্মের টানে রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন। এবং এখন যেমন বাংলাদেশের জন্য বিপদ হয়ে উঠেছে এই রোহিঙ্গারা পরবর্তীতে বাংলার ইন্টার্নাল সিকিউরিটিতেও বিপদ তৈরি করবে। পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গিদের জন্য একটা অভয়ারণ্য পরিণত হয়েছে যারা ভারত বিরোধী কার্যকলাপ করতে চায় তারা বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দৌলাতে সমাজবিরোধী কাজকর্ম করছে। এবং মমতা ব্যানার্জি পুলিশ প্রশাসন দিয়ে তাদের ইনডাইরেক্টলি প্রোডাকশন দিচ্ছেন।