এই মুহূর্তে জেলা

পুজোর সামগ্রী নিলামেই চলে সারা বছরের খরচ, এভাবেই চলে আসছে পান্ডুয়ার হ্যাপা কালীর পুজো।


হুগলি, ১ নভেম্বর:- শাড়ি গামছা থেকে ধূপ গঙ্গাজল, আলতা সিঁদুর, ফল-মূল থেকে মিষ্টান্ন পুজোয় দেওয়া সব সামগ্রী নিলাম হয়। আর সেই নিলামের টাকায় সারা বছর নানা অনুষ্ঠান পুজো হয়। বছর বছর ধরে পান্ডুয়ার বেলুন গ্রামে হ্যাঁপা কালীর পুজো হয়ে আসছে এভাবেই। কোনো চাঁদা কাটা হয়না। পুজো সামগ্রী নিলাম করা হয় কালী পুজোর পরদিন। মা কালী প্রতিষ্ঠা করতে অনেক হ্যাঁপা পোহাতে হয়েছিল, তাই নাম হয়েছে হ্যাঁপা কালী। পান্ডুয়ার বেলুন ধামাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলুন গ্রামে। প্রায় সারে তিনশ বছরের পুরনো এই পুজোতে আজও রীতি মনে হয় নিলাম প্রথা।তান্ত্রিক মতে হয় দেবীর পুজো হয়। ছাগ বলি হয় পুজোর রাতে। শোনা যায় এলাকার বাগদিপাড়ার কয়েকজন ডাকাত এই পুজোর সূচনা করেন।

মা কালীর পুজো দিয়ো তাঁরা ডাকাতি করতে যেতেন। প্রাচীন এই পুজোয় ব্যবহৃত গঙ্গাজল থেকে পাঠার মুড়ি সবই নীলাম হয় পুজোর পরের দিন। নিলামে ওটা প্রসাদ নিতে ভিড় জমায় পার্শ্ববর্তী দশ বারোটি গ্রামের মানুষ। নিলাম থেকে আয় হওয়া অর্থ কাজে লাগানো হয় পুজোতে, এমনটাই জানালেন বেলুন হেপাকালি বারোয়ারির সম্পাদক সুদীপ ঘোষ। এক সময় পাতার ছাউনির ঘর ছিল বর্তমানে পাথর বসানো মন্দির হয়েছে। হ্যাঁপা কালী পুজো এখন অনলাইনেও দেওয়া যায়। ভক্তরা পুজো যা কিছু দেন সবই নিলামে ওঠে। যে বেশি দাম দেয় সামগ্রি তার। হ্যাঁপা কালী তলার নিলামে কেনা জিনিস থেকে পূন্য লাভ হয় বলে বিশ্বাস। তাই অনেক জিনিস একটু বেশি দামেই কিনে নিতে দ্বিধা করেন না গ্রামবাসীরা।