এই মুহূর্তে জেলা

শ্রাবনী মেলা উপলক্ষে প্রথম গঙ্গা আরতির আয়োজন’ চন্দননগরে।


হুগলি, ১০ আগস্ট:- বারানসি ঘাটে গঙ্গা আরতি দেখতে বহু মানুষ উপস্থিত হন। পশ্চিমবঙ্গের অনেকটা জায়গা দিয়ে গঙ্গা নদী প্রবাহিত। গঙ্গার ঘাট গুলোতে গঙ্গা আরতি করলে তা দৃষ্টি নন্দন হয়। বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমত কলকাতা সহ জেলার গঙ্গা তীরবর্তি পুরসভা গুলো গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করেছিল। এবার শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে গঙ্গাবক্ষে গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হলো প্রশাসনের উদ্যোগে। শ্রাবণ মাসে তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা হয়। লক্ষ পূর্নার্থীর ভীর জমে শৈব তীর্থে। প্রথা অনুযায়ী বৈদ্যবাটি গঙ্গা ঘাট থেকে জল সংগ্রহ করে বাঁক কাঁধে প্রায় চল্লিশ কিমি রাস্তা পায়ে হেঁটে ভক্তরা পৌঁছান তারকেশ্বর। পথের ক্লান্তি দূর করতে “ভোলেবাবা পার লাগাও ত্রিশূল ধারী শক্তি যাগাও”, “বম বম তারক বম ভোলে বম তারক বম” বলতে বলতে দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে তারকেশ্বর পৌঁছান পূর্নার্থীরা। মহাদেবের মাথায় জল ঢেলে সমাপ্তি হয় জলযাত্রীদের যাত্রা।কেউ মনস্কামনা পূরনে কেউ বা ভোলে বাবার কাছে প্রার্থনা করতে বছর বছর বাঁক কাঁধে হেঁটে চলেন। তারকেশ্বরে গোটা শ্রাবণ মাস জুরে মেলা বসে। দূর দূরান্ত থেকে আসেন ভক্তরা।

যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে এই শ্রাবণী মেলা।তবে কোনো দিন গঙ্গা আরতি হয়নি। এবারই প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় শ্রাবণী মেলাকে কেন্দ্র করে গঙ্গা আরতির আয়োজন করে হুগলি জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা সংগ্রহশালার উদ্বোধন হয়। চন্দননগর রানী ঘাটে এই গঙ্গা আরতির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন,স্নেহাশিষ চক্রবর্তী, বেচারাম মান্না, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন, করবী মান্না, হুগলি জেলা শাসক মুক্তা আর্য, চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি সহ হুগলি জেলা প্রশাসনে আধিকারীকরা। কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে গঙ্গা আরতির আয়োজন একটা দৃষ্টান্ত হলো। জেলা প্রশাসন থেকে এবারে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শ্রাবনী মেলায়। যারা বাঁকে করে জল নিয়ে যান তাদের জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তাদের সম্মানিত করা হবে বাঁক বাহাদুর বলে। হুগলি জেলা শাসক মুক্তা আর্য বলেন, আজ চন্দননগর রানী ঘাটে গঙ্গা আরতি হল রবিবার সেই লঞ্চ চলে যাবে শ্রীরামপুর রায়ঘাটে সেখানেও হবে আরতি।