এই মুহূর্তে জেলা

উন্নয়নের জোয়ারে গোটা রাজ্য ভাসলেও , সংরক্ষণের অভাবে শ্রীরামপুর আদালতের প্রতীক্ষালয় ভবনের জীর্ণ দশা।

হুগলি , ৩১ মে:- অজানা এক অদৃশ্য কারণে আদালত ভবনের সাক্ষী প্রতীক্ষালয় ভবনটির জীর্ণ দশা। কঙ্কালসার প্রতীক্ষালয়টি তৈরি হয়েছিল ডেনিস আমলে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিহাস ঘেরা প্রাচীন শ্রীরামপুর মহকুমা আদালত ভবনের নির্মাণ মেরামতি অনেক কিছুই হয়েছে। প্রতিদিন মহকুমা এলাকায় ছটি থানার বিভিন্ন মামলায় হাজার হাজার বিচার প্রার্থী সকাল হতেই ভীড় জমান। এই জীর্ন ভবনটির জন্য একমুঠো বালি, সিমেন্ট, সুরকি কিছুই বরাদ্দ হয়নি। অথচ ভবনটির মধ্যে রয়েছে সব গুরুত্বপূর্ণ নথি। সামান্য বৃষ্টিতে ভবনটির ভেতরে জল জমে যায়।

যখন তখন খসে পরে দেওয়াল সহ ছাঁদের পলেশটারা। যার ফলে ছোট খাটো দূর্ঘটনা অসংখ্য বার ঘটেছে। কিন্তু কর্মীরা কাজ করছেন খালি পাঁয়ে চেয়ারের উপর পা তুলে কারন গোড়ালি পর্যন্ত জল থাকায়। কর্মীরা পা নিচে নামাতে পারে না। চরম আতঙ্কের সঙ্গে তারা কাজ করে চলেছেন। জলে, পোকায় কাটছে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ নথি। সম্পতি দুশো বছর ডেনিস স্থাপত্য গুলি সংরক্ষণ মেরামতি অনেক কিছু কম বেশী পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু এরখম একটি ভবনের জরাজীর্ণতা সকলেই নজর এড়িয়েছে। গঙ্গা দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে।

অনেক ভাবেই আবেদন নিবেদন আইনজীবী ও মহলের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। সরোজমিনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ রারংবার এসেছেন এবং সংরক্ষণের প্রয়োজন মনে করেছেন। কিন্তু কি কারনে আজও পর্যন্ত অবহেলিত ভবনটি তার উত্তর খুঁজতেই হতাশ আইনজীবীরা। উন্নয়নের জোয়ার গোটা রাজ্য ভাসলেও ভাটার সুরেই নিরবে কেঁদে চলছে এই ঐতিহ্যবাহী ভবনটি। বিষয়টি শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক “সম্রাট চক্রবর্তীকে” জানানো হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। পি,ডব্লিউ, ডিকে জানানে হয়েছে। গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হবে।