হুগলি, ২২ জুলাই:- চন্দননগর উর্দি বাজারে উচ্ছেদ অভিযান, ভেঙে সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের পার্টি অফিস। কয়েকদিন আগে কর্পোরেশন থেকে নোর্টিশ করা হয়েছিল ব্যবসায়ীদের। আজ ছিল তার ডেট লাইন। চন্দননগর কর্পোরেশনের এগারো নম্বর ওয়ার্ডের উর্দিবাজার হল লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার থেকে চন্দননগর স্ট্যান্ড রোড যাওয়ার রাস্তা। বাজারের রাস্তার দুই পাশে ফুটপাথ দখল হয়েছিল। দখল মুক্ত করতে হবে মুখ্যমন্ত্রী বলার পর চন্দননগর কর্পোরেশনে জবর দখল হঠাতে বৈঠক হয়। কোথায় কোথায় ফুটপাথ দখল হয়ে আছে তার সমিক্ষা হয়। আজ পুলিশ ও কর্পোরেশনের লোকজনের উপস্থিতিতে ভাঙা পরে অনেক দোকান। এগারো ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দু’নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান মহম্মদ সামাদ আলি বলেন, দিদির নির্দেশ পাওয়ার পর আমরা ফুটপাত দখল মুক্ত করতে নেমেছি। আমাদের একটি পার্টি অফিস ছিল সেটাকেও আমরা ভেঙে সরিয়ে দিয়েছি। অনেক দোকান আছে তাদের সামনেটা ফুটপাতের উপর চলে এসেছিল এগুলোকে মূলত সরানো হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ব্র্যান্ডেড দোকান যেগুলো আছে তারাও ফুটপাত দখল করে আছে সেগুলো সরানো হয়নি। সিআইটিইউ এর পক্ষ থেকে পুনর্বাসনের দাবী জানানো হয়েছে। সিআইটিইউ হুগলি জেলা ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য চন্দননগর হকার ইউনিয়নের সহ-সভাপতি গোপাল শুক্লা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মনে হয়েছে তিনি ঘোষণা করেছেন তারপর থেকেই এই কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের দেশের আইন আছে ট্রিট ভেন্ডার এক্ট ২০১৪ বলে পুনর্বাসন ছাড়া কোন উচ্ছেদ হবে না। এটা ঠিক যারা এখানে ব্যবসা করছে তারা রাস্তায় আছে কিন্তু দশকের পর দশক ধরে তারা এখানে রয়েছে। এখান থেকে তাদের রুজি রুটি চলে সংসার চলে। আমরা দাবি করছি এদের পুনর্বাসন দেয়া হোক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। আজকে তারা মুখ লুকানোর জন্য বলছেন যে তাদের পার্টি অফিস খুলে নিয়েছেন কিন্তু গরিব মানুষগুলোর কথা তো বলছেন না।