হুগলি, ২০ জুলাই:- চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে সিজারের পর এক প্রসূতির মৃত্যু চার প্রসূতির অবস্থা সংকটজনক হওয়ার ঘটনার তদন্তে এল স্বাস্থ্য ভবনের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা। চিকিৎসক নার্স হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে কথা বলেন তারা। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তারা জানান, তারা দেখেছেন, নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবেন তার পর স্বাস্থ্য ভবনে রিপোর্ট জমা দেবেন। গত সোমবার এক রাতে পাঁচ জনের সিজার হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। পরদিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেন পাঁচ প্রসূতি। মঙ্গলবার দুজনকে পাঠানো হয় আরজি কর হাসপাতালে। বুধবার সেখানে মৃত্যু হয় নৈহাটির বাসিন্দা অঞ্জলী মন্ডলের। বৃহস্পতিবার আরো দুজনকে পাঠানো হয় যথাক্রমে এসএসকেএম ও মেডিকেল কলেজে।
প্রসূতিদের পরিবারের অভিযোগ গাফিলতির কারনে এত বড় কান্ড ঘটেছে। যারা বাড়ি থেকে সুস্থ হেঁটে এসে হাসপাতালে ভর্তি হল তারা সিজারের পর কি করে মৃত্যু মুখে চলো গেলো এ প্রশ্ন করেন তাদের পরিবার। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক মৃগাঙ্ক মৌলি কর জানান, কি কারনে এক দিনে সিজার হওয়া প্রসূতিদের অবস্থা আশঙ্কা জনক হয়ে গেলো তা বোঝা যায়নি। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভবন থেকে বিশেষজ্ঞ কমিটির লোকজন এসে ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দেবেন। সেই মত আজ স্বাস্থ্য ভবন থেকে তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি আসে চু়ঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মন্ডল বলেন, ঘটনার তদন্তে স্বাস্থ্য ভবন থেকে যারা এসেছিলেন তারা স্বাস্থ্য ভবনে রিপোর্ট দিলে তারপর আমরা জানতে পারবো।