এই মুহূর্তে জেলা

মহাসামরে ধুমধাম এর সাথে পালিত হল নদীয়ার মায়াপুর ইসকনের উল্টোরথ যাত্রা।

নদীয়া, ১৫ জুলাই:- আজ উল্টোরথ, যদিও গোটা রাজ্যজুড়ে ইসকন ধর্মীয় অবলম্বী যেকোনো শাখা মানেই একটু হলেও পরিবর্তন। আগামীকাল উল্টো রথযাত্রা উৎসব রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় পালিত হবে। কিন্তু নদীয়ার মায়াপুর ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দিরে আজ পালিত হচ্ছে মহাসমায়ে উল্টো রথ উৎসব। সকাল থেকেই গোটা মায়াপুর ইসকন মন্দির কে এক অন্যরূপে সুসজ্জিত করা হয়, ইসকনের ভেতরে অবস্থিত পৃথিবীর বৃহত্তম মন্দিরের পাশে বলরামদেব জগন্নাথ দেব এবং সুভদ্রা দেবীর তিনটি পৃথক রথ ফল ও ফুল দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়। যদিও রথের রশ্মিতে টান দেওয়ার জন্য দুর দুরন্ত থেকে অসংখ্য ভক্তবৃন্দরা এসে উপস্থিত হন। শুধু দেশীয় ভক্তবৃন্দ নয়, বিদেশি ভক্তবৃন্দদেরও উচ্ছাস রয়েছে চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকেই বেশিরভাগ সময় মায়াপুর ইসকন মন্দিরের চারপাশে শুধু শোনা যায় হরিনাম সংকীর্তন, শুধু রথ নয় বিভিন্ন ট্যাবলো সাজিয়ে আকর্ষণীয় করে তোলা হয় আজকের এই উল্টো রথ উৎসব। এ প্রসঙ্গে মায়াপুর ইসকন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, আজকের এই রথ উৎসবে আগত অসংখ্য ভক্তবৃন্দদের জন্য মহাপ্রবাসে প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

যদিও সারা বছরই মায়াপুর ইসকন মন্দিরে দেশি-বিদেশী ভক্তদের আনাগোনা থেকেই যায়, আর এই উল্টো রথ উৎসবকে কেন্দ্র করে যেন অন্য রূপ নিয়েছে ইসকন মন্দির। বেশিরভাগ জায়গায় করা হয়েছে বাশের ব্যারিকেট, দর্শনার্থীরা যাতে রথের কাছে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য করা হয়েছে কড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা। যদিও মায়াপুর ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দির অর্থাৎ জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়িতে সাতদিন অস্থায়ীভাবে তার আরাধনার পর আজ মায়াপুর ইসকন থেকে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে রাজাপুরের জগন্নাথ দেবের মূল মন্দিরে প্রবেশ করা হয়।আর এক প্রকার বলা যেতেই পারে বর্ণনাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে আজকে ধুমধাম এর সাথে পালিত হল উল্টোরথ যাত্রা। অন্যদিকে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় রথ দাঁড় করানো হয় এরপর রাস্তায় পাশে থাকা অসংখ্য ভক্তবৃন্দরা জগন্নাথের বলরামদেব এবং সুভদ্রা দেবী কে তাদের মনস্কামনা পূরণের জন্য আরাধনা করেন। তবে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে, আজকের এই উল্টো রথ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা সিনেমার প্রখ্যাত অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। নদীয়া থেকে জগন্নাথ মন্ডলের রিপোর্ট।