এই মুহূর্তে জেলা

একটি প্রাণ যাওযার পর, পুলিশি নিরাপত্তা চন্দননগর হাসপাতালে।

হুগলি, ১২ জুন:- কখনও মদ্যপদের তাণ্ডব, কখনও মাদক মিশ্রিত পানীয় খাইয়ে রুগীর আত্নীয়দের থেকে লুটপাট। চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের ঢিলেঢালা নিরাপত্তার ছবি বারবার সামনে এসেছে। মঙ্গলবার, প্রকাশ্য দিবালোকে সেই হাসপাতালের সামনেই এক যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনায় এলাকার নিরপত্তা ব্যবস্থাই বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে! এরপরেই বুধবার থেকে হাসপাতালে সবসময়ের জন্য পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হল। বুধবার, হাসপাতালে আসা নসিবপুরের এক তরুণীর দাবি, এই হাসপাতালে বারবার নিরাপত্তার গাফিলতি ধরা পড়লেও সবসময় পুলিশ থাকত না। একটি জীবনের বদলে অবশেষে পুলিশি ব্যবস্থা হল। মঙ্গলবার, পুলিশ থাকলে হয়তো অঘোরে ছেলেটির প্রাণ যেত না।

মঙ্গলবার, ভদ্রেশ্বর বিঘাটির বাসিন্দা কেবল লাইনের কর্মী সুপ্রিয় বাইক নিয়ে স্টেশন রোড ধরে যাচ্ছিলেন। স্টেশনের কাছে ওই এলাকারই বাসিন্দা গৌতম দাসের সঙ্গে তাঁর বাইকের সামান্য ধাক্কা লাগে। ঘটনার পরেই একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে ধাক্কাধাক্কিতে জড়ায়। স্থানীয়দের দাবি, সে সময় পরে গিয়ে মাথা ফাটে উমেশের। তড়িঘড়ি, উমেশকে বাইকে তুলে চন্দননগর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন সুপ্রিয়ই। সেখান থেকে বেরোতেই গৌতমের আত্মীয় পরিজনেরা সুপ্রিয়কে বেধরক মারধর করে বলে অভিযোগ। পরে তাঁকে হাসপাতালে ঢোকালে চিকিৎসা ঘোষণা করেন। ঘটনায় ওই দিনই মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাদেরকে চন্দননগর মহাকুম আদালতে তোলা হবে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।