এই মুহূর্তে জেলা

ভোটের ফলাফলে পিছিয়ে থাকার জের, হুগলিতে পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানদের পদত্যাগ শুরু।

হুগলি, ৭ জুন:- হুগলিতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন ৭৬,৮৫৩ ভোটে। তা সত্ত্বেও তৃনমূলের প্রধান উপ প্রধানরা পদত্যাগ করলেন! হুগলি কেন্দ্রে জিতলেও হুগলির সাতটি বিধানসভার মধ্যে তিনটিতে পরাজয় হয়েছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবধান চুঁচুড়া বিধানসভায়।সেখানে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে রচনার বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ৮,২৮৪ ভোট বেশি দিয়েছেন চুঁচুড়ার ভোটাররা। তাই দলের প্রার্থী জিতলেও চুঁচুড়ার তৃনমূল নেতা কর্মিদের আনন্দ ফিকে হয়ে যায় অনেকটাই। হারের কারন পর্যালোচনা করতে চুঁচুড়া বিধানসভার অন্তর্গত ব্যান্ডেল, দেবানন্দপুর, কোদালিয়া-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। সূত্রের খবর বিধায়ক প্রধান উপপ্রধান জন প্রতিনিধিদের হারের কারনে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন।যাচ্ছেতাই অপমান করেন। আজ সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত গুলোর প্রধান উপ প্রধানরা মগড়া বিডিও অফিসে গিয়ে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করেছেন কোদালিয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর প্রধান সুচেতা মান্না পাল।

তিনি অবশ্য তাদের উপর কোনো চাপ আছে এমন কথা স্বীকার করেননি। দলের পরাজয়ের দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন বলে জানান তিনি। বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, চারটি পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ প্রধান পদত্যাগ করেছেন। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই কারণ তাদের বিবেক আছে। তারা থাকা অবস্থায় দলের পরাজয় হয়েছে। মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। কেন তা নিয়ে বসে পর্যালোচনা করব। চুঁচুড়া পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাসের অভিযোগ, মানুষের সঙ্গে বিশেষ করে দলের কর্মি কাউন্সিলরদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের ফল এটা।কাউন্সিলরদের সঙ্গে কুকুর ছাগলের মত ব্যবহার করেন বিধায়ক। তাই এই পরাজয় হয়েছে। একদিন তাসের ঘরের মত ভেঙে পরবে বলেও মনে করেন কাউন্সিলর। বিজেপির সুরেশ সাউ বলেন,পরাজয়ের দায় যদি নিতেই হয় তাহলে বিধায়ক কেন নিচ্ছেন না। তিনিই তো চুঁচুড়ার অভিভাবক।