এই মুহূর্তে জেলা

ব্যক্তিগত জমির উপর দিয়ে রাস্তা তৈরীতে বাধা, ঘটনাস্থলে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।


হুগলি, ২৯ মে:- ব্যাক্তিগত জমির ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করার অভিযোগ উঠলো উত্তর রজ্যধরপুর এলাকায়। মালিকপক্ষের অভিযোগ তাদের না জানিয়ে পঞ্চায়েতের তরফ থেকে এই রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটে শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরের উত্তর রজ্যধরপুর এলাকায়। সেখানে ব্যক্তিগত জমির উপর দিয়ে বেশ কিছু পরিবারে যাতায়াতের সুবিধার্থে ৬ ফুট চওড়া ঢালাই রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেয় পেয়ারাপুর পঞ্চায়েত। গত কাল থেকেই রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়, ইট পাতাও হয় গতকাল তখনই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন পঞ্চায়েত সদস্য জয়ন্তী পাত্র। তখন তাকে অভিযোগ করতে থাকেন এক মালিকপক্ষ। অভিযোগ তাকে না জানিয়েই রাস্তা করা হচ্ছ।আজ সকালে রাস্তা ঢালাই করতে এলে রাস্তার কাজে বাধা দিতে থাকেন জমির মালিকপক্ষ সঞ্চিতা দাস। এলাকায় উত্তেছনা সৃষ্টি হয়, ঘটনা স্থলে আসে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। পুলিশের সামনেই দু পক্ষের মধ্যে চলে বচসা, পড়ে ঠিকাদার রাস্তার কাজের অনুমতিপত্র নিয়ে এসেও দেখান কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয় নি।

দুই পক্ষের মধ্যে চলে বচসা। রাস্তার হওয়ার পক্ষের পরিবাররা জানান এখানে এই রাস্তাটার জন্য অনেকদিন ধরে চেষ্টা করা হচ্ছিল এটা কারোর ব্যক্তিগত জায়গা নয়। অবশেষে এই রাস্তার কাজ কাজ শুরু হয়েছে তখনই tওই ব্যক্তি রাস্তার কাজে বাধা দিচ্ছে। এমনকি রাস্তা না থাকার জন্য এখানে আমাদের চারটে পরিবারকে বিদ্যুৎহীন ভাবে বসবাস করতে হয়। আমরা চাই রাস্তাটা হোক এতে প্রায় ১০ থেকে ১২টি পরিবার সুবিধা হবে পাশাপাশি যারা মাঠে যায় চাষবাস করতে তাদেরও সুবিধা হবে। অভিযোগকারী সঞ্চিতা দাসের অভিযোগ আমাদেরকে কোনরকম না জানিয়েই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এই রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। আমরা হয়তো আগে মৌখিকভাবে বলেছিলাম কিন্তু গতকাল আমাদেরকে গালিগালাজ করা হয়। তাই আমরা চাই না রাস্তাটা হোক। পঞ্চায়েত সদস্য এখানে এসেছেন কিন্তু উনি আমাকে কোন কাজের অনুমতি পত্র দেখাতে পারেননি।

যারা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে তাদের সই করা কাগজ দেখিয়েছে। কিন্তু যাদের জায়গা তাদের কোনরকম অনুমতি ছাড়াই এই কাজ করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এই রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত সদস্য জয়ন্তী পাত্র জানান বেশ কিছুদিন ধরে গ্রামবাসীরা আমার কাছে এই রাস্তাটা করার জন্য দাবিজানিয়ে আসছিলেন। তাই জন্যই আমি এই রাস্তার কাজ শুরু করাই। এখন যারা অভিযোগ করছেন তখন তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার পরেই এই রাস্তার কাজ শুরু করি। এখন তারা এসে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করতে চাইছে। কিন্তু এই রাস্তাটা হলে শতাধিক লোকের উপকার হবে। আমি চাই যাতে রাস্তার কাজ বন্ধ না হোক। আমি এখানকার সদস্য হওয়া সত্বেও আমাকে বিভিন্ন রকম ভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে।