এই মুহূর্তে কলকাতা

উত্তর ও মধ্য কলকাতায় দুই মহারথীর কর্মসূচিকে ঘিরে সরগরম মহানগর।

কলকাতা, ২৮ মে:- একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের প্রায় শেষ লগ্নে উত্তর ও মধ্য কলকাতায় দুই মহারথীর কর্মসূচিকে ঘিরে মঙ্গলবার সরগরম ছিল মহানগর। সোম সন্ধ্যা পর্যন্ত হাঁটু জলে ডুবে ছিল মহানগরের রাজপথ৷ কিছু কিছু জায়গায় রাস্তার উপর উপড়ে পড়েছিল বড় বড় গাছ৷ ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবের প্রভাবে প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল কলকাতার জনজীবন৷ সেই দুর্যোগ পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার ২৪ ঘণ্টার মাথায় কলকাতার রাস্তায় এই জোড়া কর্মসূচি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে প্রশাসন৷ তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী অবশ্য এর আগে শহরের উপকন্ঠে বিরাটি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত একটি পদযাত্রা করেন। যাদবপুরে জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রীও। তবে শহরের কেন্দ্র বিন্দুতে প্রায় পিঠোপিঠি দুই কর্মসূচির দিকেই নজর ছিল সকলের। এই প্রথম কলকাতায় রোড শো করলেন প্রধানমন্ত্রী। কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় ও দমদমের শিল্ভদ্র দফতরের সমর্থনে তাঁর এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিজেপির নেতা কর্মী সমর্থকদের উৎসাহ উদ্দীপনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের আগ্রহও ছিল তুঙ্গে। মায়ের বাড়িতে পুজো দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।

তারপর তিনি পৌঁছান শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে। নেতাজির মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাদ খোলা গাড়িতে রোড শো শুরু করেন। পদ্মপ্রতীক হাতে তাঁর দুপাশে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পিছনে ছিলেন প্রার্থী তাপস রায়। আর রাস্তার দু পাশে ব্যরিকেডের দুধারে ছিলেন কাতারে কাতারে মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর রোড শো-কে বর্ণাঢ‌্য রূপ দেওয়ার জন্য ছিল বাংলার সংস্কৃতির বিভিন্ন আঙ্গিকের বাদ্যযন্ত্র, আদিবাসী নৃত‌্য, লোক সঙ্গীত ও নৃত্য শিল্পীর দল। এছাড়া মুখোশ, পটচিত্র ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলার বহুমুখী সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয় বিশাল এই শোভাযাত্রায়। অন্যদিকে কলকাতা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থনে বিকেলে এন্টালি থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত পদযাত্রা করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেড়ে। মিছিলের শুরুতেই প্রতিকী ভাবে বিজেপির‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজান তিনি। এদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে এই দুই মেগা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও চরমে ওঠে। পূর্ব ও মধ্য কলকাতার অধিকাংশ রাস্তা বন্ধ অথবা যান নিয়ন্ত্রণের ফলে অফিস বা কাজ থেকে ফিরতে গাড়ি না পেয়ে নাকাল হতে হয়েছে। সেখানে মানুষের একমাত্র ভরসা ছিল পাতাল পথ। তাই দুপুরের পর থেকেই আজ মেট্রোতে তিল ধারণেরও যায়গা ছিলনা।