হুগলি, ২৫ মে:- বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের সংযোগস্থলে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। রেমাল প্রভাব আগামীকাল দুপুরের পর থেকে দেখা যাবে। ঝড়ের যে গতি প্রকৃতি রয়েছে তাতে বঙ্গোপসাগরের উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে এগোতে শুরু করেছে। আগামীকাল দুপুরে হলদিবাড়ির কাছে ল্যান্ডফল হওয়ার কথা।সেই মত প্রশাসনের তরফ থেকে শুরু হয়েছে সতর্কীকরন। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার পক্ষ থেকে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় চলছে মাইকিং প্রচার।বাঁধের পাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়া জন্য আবেদন করা হচ্ছে পুরসভার পক্ষ থেকে। সেই মত মাঝি যারা নৌকা নিয়ে গঙ্গায় মাছ ধরতে যান তাদেরকেও গঙ্গায় মাছ ধরতে নিষেধ করা হচ্ছে। আজ ২৫শে মে থেকে ২৭শে মে অবধি তিন দিন জেলার সমস্ত ঘাটে বন্ধ থাকবে ফেরী চলাচল। সেই মত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে নবান্ন থেকে।
এদিন সকালে দেখা যায় চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া, গুপ্তিপাড়া সহ বিভিন্ন ফেরীঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে ফেরীঘাটের কাউন্টারে।তবে বহু যাত্রীর কাছে বন্ধের খবর না থাকায় ঘাটে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, ইয়াস ও আম্পানের সময় প্রশাসন মানুষের পাশে থেকেছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে যা খবর রেমেল পশ্চিমবঙ্গের সাগর উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে আছড়ে পড়বে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া নিষেধ করা হয়েছে এবং গঙ্গা এবং বিভিন্ন নদীপথে লঞ্চ ভেসেল পারাপার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।