এই মুহূর্তে কলকাতা

বিতর্কের আবহেই রাজভবনে পালিত হলো রবীন্দ্রজয়ন্তী।


কলকাতা, ৮ মে:- এক মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে চলতি বিতর্কের আবহে রাজভবনে পালিত হল রবীন্দ্র জয়ন্তী। শুধু তাই নয় সম্বর্ধনা দেওয়া হল রাজভবনের ছয় ‘নিষ্ঠাবান’ কর্মীকে। যেখানে রাজভবনের এক মহিলা কর্মীই রাজ্যপালকে অভিয়ুক্ত করছেন, সেখানে ‘নিষ্ঠাবান’ কর্মীদের পুরস্কারের মধ্যে দিয়ে রাজ্যপাল অন্য় কোনও বার্তা দিতে চাইছেন কিনা সে প্রশ্নও উঠছে। এদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবনের ৬ কর্মীকে সম্বর্ধনা দেন। যে ৬ জন কর্মীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে রাজ্যপালের দু’জন এডিসি আছেন৷ আছেন ব্যারাকপুর রাজভবনের এক মালি, কলকাতা রাজভবনের এক কেক মেকার ও রাজ্যপালের ব্যক্তিগত সচিব কিছুদিন আগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি অভিযোগ ওঠার পরপর রাজভবন থেকে কর্মীদের স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুলিশ বা অন্য কারও কাছে রাজভবনের কোনও বিষয় নিয়ে মুখ খোলা যাবে না। এরকম পরিস্থিতিতে রাজভবনের ছ’জন কর্মীকে পুরস্কৃত করার বিষয়টি নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে।

এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ্ভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যপাল তা এড়িয়ে যান। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে তিনি বলেন, “আজকের দিনে রাজনীতি-আইন-সম্মানীয় সাংবিধানিক সহকর্মী সম্বন্ধে কিছু বলব না। আজ শুধুই রবীন্দ্রনাথ।” ফলে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে বর্তমান প্রতিক্রিয়া বা পদক্ষেপ কী হতে পারে সেই বিষয়ে মুখে কুলুপ আটেন রাজ্যের সাংবাধিনাকি প্রধান৷ উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছিলেন এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। অভিযোগ ওঠার পর দিনই কলকাতা ছাড়েন রাজ্যপাল। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি সেরে কোচি থেকে তিনি সোমবার রাতে কলকাতা ফিরেছেন। সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তিনি বরাবরই রাজনীতির বাইরে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে রাজনীতির ময়দানে টেনে এনেছেন বলে দাবি করেছেন সিভি আনন্দ বোস। তাঁর আগে এক অডিয়ো বার্তায় রাজ্যপাল বলেছিলেন, অশুভ উদ্দেশ্যে আবারও একজনকে রাজভবনে বসানো হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে। এগুলো নির্বাচনী ছক ৷”