হুগলি, ২৩ এপ্রিল:- নির্বাচনের আগে ঝুঁকি নিতে চায়নি, হাজার পুলিশ নিরাপত্তার চাদরে মোরা হনুমান জয়ন্তী বাঁশবেড়িয়ায়।বাঁশবেড়িয়ায় হয় হুগলি জেলার অন্যতম বড় হনুমান জয়ন্তী উৎসব। কল বাজারে হনুমান মন্দিরের সামনে থেকে একাধিক শোভাযাত্রা বেরহয়। ডিজে আর তরবারির ঝনঝন শব্দে শোভাযাত্রা এগিয়ে চলে। কলবাজার, শিবপুর, ঝুলোনিয়া, বোরোপাড়া হয়ে ইসলাম পাড়া দিয়ে আবার কলবাজার শোভাযাত্রার এই পথে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোরে মোরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিগত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি পুলিশ। তাই হুগলি গ্রামীন এলাকা শুধু নয় ভীন জেলা থেকেও পুলিশ নিয়ে আসা হয়।হুগলি গ্রামীন পুলিশ সুপার কমানাশিষ সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসাররা উপস্থিত থেকে শোভাযাত্রা যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয় তার তদারকি করেন। জেলার প্রায় থানার ওসিররাও উপস্থিত ছিলেন। হনুমান মন্দিরে উপস্থিত হন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
মন্দিরে পুজো দেন। তারপর হনুমানের গদা হাতে মিছিলে পা মেলান। লকেট বলেন, পাঁচশ বছর পর রামের ভক্তরা জরো হয়েছে। রাম লালা অযোধ্যায় ফিরেছে। বজরংবলির নাম করতে গেলে আগে পছন্দ করে রামের নাম।তাই চারিদিকে জয় শ্রী রাম জয় শ্রী রাম। বাগ ডোগরায় দেবকে দেখে জয় শ্রীরাম বলে ওঠে এক রাম ভক্ত। পাল্টা তাকে জরিয়ে ধরেন ঘাটালের তৃনমূল প্রার্থী দেব। সে প্রসঙ্গে লকেট বলেন, একেই বলে আচ্ছে দিন। আমরা আচ্ছে দিনের দিকে আরও এগিয়ে যাচ্ছি। তৃনমূলও জয় শ্রীরাম বলছে। দেবকে স্বাগত জানাই। আমরা বারবার বলেছি রাম কারোর একার নয় রাম সবার। আজকে সেটা প্রমান হচ্ছে। প্রসঙ্গত রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ভদ্রেশ্বরে রামনবমীর দিন প্রচারে গিয়ে বলেন, রাম সীতা লক্ষ্মণ হনুমান সকলের বিজেপির একার নয়।