হুগলি, ১৫ এপ্রিল:- ভারতবর্ষের ১৪০ কোটি মানুষ বিচার ব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে আছে কারন যখনই যে সরকার গণতন্ত্রের উপর আঘাত হানার চেষ্টা করেছে তখনই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বিচার ব্যবস্থা। এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। এমন সময় হাত জোর করে বিচার ব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে আছি, শ্রীরামপুরে প্রচারে বেরিয়ে বললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা ভারতবর্ষের যা পরিস্থিতি আছে বিজেপির দুশো পেরোতে পারবে না। ভারতবর্ষে অর্থনৈতিক অবস্থা একটা অদ্ভুত সেফ নিয়েছে। ভারতবর্ষের শিক্ষিত যুবক হল ৬৭.৫%। অশিক্ষিত যুবক ৮১.৫%। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে এটা ছিল ৫০.২ শতাংশ। এই যখন হাল দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি একটা বিশাল যায়গায় গেছে। আর অন্যদিকে ইডি সিবিআই দিয়ে ভারতবর্ষে যত বিরোধী দল আছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
২৫ জন বড় বড় নেতা যাদের বিরুদ্ধে এডিসিবিআই দেওয়া হল। যারা বিজেপিতে চলে গেল অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল, শুভেন্দু অধিকারী এদের বিরুদ্ধে আর ইটিসি দেয় নেই। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, হেমন্ত সরেনরা যায়নি বলে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিষেকের চপারে আয়কর তল্লাসী প্রসঙ্গে বলেন,এটা অবিশ্বাস্য ভারতবর্ষের মানুষকে ভাবতে হবে নরেন্দ্র মোদী থাকলে ভারতবর্ষের কি দুরবস্থা হয়। এটা ভাবতেই পারছিনা। এটা চিন্তা ভাবনার মধ্যে আসে কি করে। ভারতের শুধু জনগণ নয় জুডিশিয়ারির কাছেও আমার আবেদন থকবে।প্লিস নাও রাইস ইন টু দি অকেশান। ভারতবর্ষের গণতন্ত্র বিরোধীদের কণ্ঠস্বর বাঁচানোর জন্য একমাত্র জুডিশিয়ারই আছে।সেই জুডিশিয়ারির কাছে আমি হাতজোড় করে অনুরোধ করব। ভাতরবর্ষের গনতন্ত্রকে যখনই যে সরকার যতবার শেষ করতে চেয়েছে ভারতবর্ষের জুডিশিয়ারি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে একটার পর একটা রায় হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারছে না তাই ভারতবর্ষের বিচারব্যবস্থার খুব বড় ভূমিকা আছে। দেশের ১৪০ কোটি মানুষ সেই বিচার ব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে আছে। বামেরা বলেছে মহিলাদের সুরক্ষায় আত্মমর্যাদা কেন্দ্র গড়া হবে, যা সাংসদ তহবিলের অর্থের এক তৃতীয়াংশ টাকা খরচ হবে।সে প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন,সাংসদ কোটা টাকা শুধুমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠানই খরচ করা যায়।আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান ও খরচ হয়।যারা এ কথা বলেছে তারা হয় আইন না জেনে বলেছে।অথবা সাংসদ হওয়ার শখ জেগেছে কিন্তু আইন জানেন না।না হলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই কাজটা করেছে। শ্রীরামপুর রাম সীতার মন্দিরে পুজো দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন,মন্দির সংস্কারের জন্য শ্রীরামপুর পুরসভার মাধ্যমে আমি কিছু টাকা দিচ্ছি। যেহেতু শ্রীরামপুর নামটা এখান থেকেই হয়েছে।
ডিপিআর তৈরী করে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। রামনবমী নিয়ে রাজনীতির পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে কোন মূল্য নেই। ধর্মের নামে বাতাবরণ তৈরি করার যে চেষ্টা চলছে সারা ভারতবর্ষে ভারতবর্ষের মানুষ সচেতন মানুষ সেটা গ্রহন করছে না। তুমি ধর্ম করলে ধর্মই কর আর নাহলে রাজনীতি করলে রাজনীতি করো। ভারতবর্ষের মানুষ ভাবতেই পারছে না প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ মুনি ঋষি সেজে মাথায় গলায় চন্দন লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবকিছুকে মিলিয়ে দিচ্ছে বুঝতে পারছে না কি করব প্রধানমন্ত্রী হব নাকি ধর্মীয় গুরু হব।তবে ২০২৪ সালের পর ওকে কোনো আশ্রমে নিশ্চই যেতে হবে ওখানেই অধিষ্ঠান করতে হবে। এদিন বিকালে শ্রীরামপুরে রামসীতা মন্দিরে পুজো দিয়ে বটতলা থেকে শুরু করে খোটির বাজার পর্যন্ত রোড শো করেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়।