এই মুহূর্তে কলকাতা

ওয়াশিং পাউডার ভাজপা, হ্যায় প্রফুল্ল, হ্যায় গদ্দার।

কলকাতা, ৩০ মার্চ:- ওয়াশিং মেশিনে ঢাকা তুলে ছোট্ট প্রশ্ন… হ্যায় প্রফুল্ল, হ্যায় গদ্দার! হিমন্ত, নারায়ন, অজিত পাওয়ার… হাউ আর ইউ? তৃণমূলের সাংবাদিক সম্মেলনে চমক। ওয়াশিং পাউডার ভাজপা, ওয়াশিং মেশিন ভাজপা। একেবারে ওয়াশিং মেশিন নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাধীনতার পর দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সিবিআই-ইডি-আইটি-এনআইএ-র অপব্যবহারে সর্বকালীন রেকর্ড করেছে বিজেপি। এজেন্সি বিরোধীদের বিরুদ্ধে ৯৫% ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। আর সাফল্য মাত্র ০.৪%। নির্লজ্জতার সীমা ছাড়াতে ছাড়াতে বিজেপিকে এখন বাংলার মানুষ বলছেন, কাপড় কোথায়! বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে এজেন্সি নামছে। গ্রেফতার করছে। আর যারা সমঝোতা করে নিচ্ছে তাদের ভাজপা ওয়াশিং পাউডারে মাখিয়ে ভাজপা মেশিনে ঢুকিয়ে ‘শুদ্ধ’ করে নিচ্ছে। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ প্রফুল্ল প্যাটেল। ২০১৭ সালে বিমান কেলেঙ্কারিতে প্রফুল্লর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল।

ধীরে ধীরে প্রফুল্লকে জড়াচ্ছিল এজেন্সি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই সিবিআই জানিয়ে দিল প্রফুল্লর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি জানিয়ে দিয়েছে। একইভাবে রেহাই পেয়ে অসমের বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। দুর্নীতি মামলায় ফেঁসে শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার বিজেপিতে গিয়ে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। একই ঘটনা নারায়ন রানে, অশোক চৌহান, ছগন ভুজবাল, গদ্দার অধিকারীদের ক্ষেত্রেও। এখন বিজেপি নেতারা এনআইএ-র কর্তার সঙ্গে বৈঠক করে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের তালিকা দিচ্ছে। গ্রেফতার করতে বলছে। এনআইএ-র মতো সংস্থাকে লেঠেল বাহিনী বানিয়ে ফেলেছে বিজেপি। আর তারাও জি হুজুরের মতো সেই কাজ করছে। গণতন্ত্রকে হাস্যকর বানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনও বিজেপিকে সাহায্য করছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে দিলীপ ঘোষ, সকলে বিধিভঙ্গ করছে। কমিশনের লক্ষ্য তখন বিরোধীরা। তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনার বিরুদ্ধে লড়ছে। বাংলা থেকে বিজেপিকে উৎখাত করে জবাব দেবে।