কলকাতা, ১৯ ফেব্রুয়ারি:- আধার কার্ড ইস্যুতে বিজেপির চক্রান্ত ফাঁস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মতুয়ারা এই ইস্যুতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ বলেই দাবি করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, নির্বাচনের আগে বেছে বেছে কেন্দ্র এমন পদক্ষেপ করছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক জেলায় এমন ঘটনা ঘটছে। মতুয়া ও তপশিলিরা যাতে লোকসভা ভোটে অংশগ্রহণ করতে না পারেন সে কারণে এই ফ্যাসিবাদী চক্রান্ত বলে তার দাবি। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অসমের মতো ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির ভাবনা নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু তিনি বাংলায় এনআরসি করতে দেবেন না। তাঁর কথায়, ”এখানে ডিটেইনশন ক্যাম্প হবে না। এটা অসম নয়, এটা উত্তরপ্রদেশ নয়, এটা বিহার নয়। এটা বাংলা।” নবান্ন থেকে সোমবার কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”লুটেরা সরকার, জমিদারদের মতো আচরণ করছে। অনেক সময়ে তাঁদেরও ছাপিয়ে যাচ্ছে। সব তথ্য নিয়ে আধার কার্ড করা হয়েছিল। পরে তার সঙ্গে ব্যাঙ্কের লিঙ্কও করা হয়। এমনকী কার্ড করতে গেলে ১০০০ টাকা করে নেওয়াও হয়েছে।
এখন আচমকা কার্ড পরপর বাতিল করা হচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, আধার কার্ডের বিকল্প কার্ড তৈরি করবে রাজ্য সরকার৷ যাঁদের আধার কার্ড বাতিল হচ্ছে তাঁদের হাতে রাজ্য সরকারের ওই পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হবে৷ ওই কার্ড দিয়েই রাজ্য সরকারের সব প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ পাবেন বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, কারও আধার কার্ড বাতিল হলে এবং আধার কার্ড নিয়ে কোনও সমস্যা হলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ জানানোর জন্য একটি আধার গ্রিভান্স পোর্টালও আগামিকাল থেকে চালু করবে রাজ্য সরকার৷ আধার কার্ড বাতিল হলে সেই সংক্রান্ত অভিযোগ ওই পোর্টালে জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ৷ মতুয়া থেকে শুরু করে অনেকক্ষেত্রে রাজ্যকে না জানিয়ে ডিএম-কে না জানিয়ে আধার কার্ড বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার গুণ্ডামি করে, এনআরসি করার পরিকল্পনা করেই আধার কার্ড বাতিল করছে বলে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখবেন বলেও জানান। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন কমিশনে একটি দল পাঠানোর ভাবনাও নিয়েছেন তিনি।