হুগলি, ১৬ ফেব্রুয়ারি:- রিষড়া শুট আউটে আগেই ধরা পড়েছিল অভিযুক্তরা। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পদ্দুম সাউকে গত ৭ ফেব্রুয়ারী গ্রেফতারের পর উদ্ধার হল দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ছয় রাউন্ড কার্তুজ। রিষড়া হেস্টিং মাঠের পার্শ্ববর্তী গোঁসাইবাগান এলাকায় গত মাসের ১৮ তারিখে দীপক জয়সওয়াল নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দীর্ঘদিন এসএসকেএমএ চিকিৎসাধীন থাকতে হয়। সেই ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রদ্দুম সাউকে বিহার থেকে গ্রেফতার করে চন্দননগর পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নিয়ে শুট আউটে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধার করল রিষড়া থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর শুক্রবার বিকালে বাগখাল এলাকায় মূল অভিযুক্ত কে নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। একটি ওয়ান শাটার, ও একটি দেশি পিস্তল এবং ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত পদ্দুম সাউ স্বীকার করে আগ্নেয়াস্ত্র গুলি সেই লুকিয়ে রেখেছিল বাগখাল গঙ্গার ধারে বস্তির পিছন দিকে।পুলিশ অভিযু্ক্তকে নিয়ে বস্তিতে গেলে চাঞ্চল্য ছড়ায়।বস্তিবাসীদের দাবী কখন কিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র অভিযুক্ত রেখে গেছিল তা তাদের অজানা।আজ পুলিশ সেগুলি উদ্ধারের পর তারা জানতে পারেন।
প্রসঙ্গত গত ১৮ জানুয়ারী রিষড়ায় শুট আউট হয়। ঘটনার দু সপ্তাহ পর ১লা ফেব্রুয়ারী গ্রেফতার হয়েছিল তিনজন।এরপর বিহার থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক। পুলিশ সূত্রে খবর দীপক জয়সওয়াল যে বাড়িতে ভাড়া ছিল সেই বাড়ি ছাড়তে চাইছিল না। ভাড়াটে উচ্ছেদ করতে দীপককে শিক্ষা দিতে পরিকল্পনা করে রহিত, সূরজ, জয় আরও কয়েকজন।এদের সঙ্গে দীপকের পুরোনো শত্রুতা ছিল। যাকে গুলি চালানোর সুপারী দেওয়া হয়েছিল সে কুখ্যাত দুষ্কৃতি পদ্দুম সাউ। চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্নব বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, পদ্দুম এর আগে ২০০৭ সালে রিষড়াতেই একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত, ২০১৩ সালে কলকাতার বড় বাজারে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত। এর আগে পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি।রিষড়ার ২১ এন এস রোডে বাড়ি হলেও থাকত বিহারের লক্ষ্মিপুরে। পুলিশ তার সঙ্গীদের জেরা করে জানতে পারে।অপরাধ করে বিহারে পালিয়ে যেত পদ্দুম।সেই সূত্র ধরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।