এই মুহূর্তে জেলা

দৃষ্টিহীন মানুষের চোখে আলো ফেরাতে চক্ষুদানের অঙ্গিকার নব দম্পতির।

হুগলি, ২৫ জানুয়ারি:- নতুন জীবনে নতুন মানুষের সঙ্গে পথচলার দিনে চক্ষুদানের অঙ্গিকার নব দম্পতির। বাবার কাজে আরও উৎসাহ দিতে মেয়ে তার স্বামীকে নিয়ে চক্ষুদানের অঙ্গিকার করলেন। বাবা জয়ন্ত গনাই আলোয় ফেরার সদস্য। আলোয় ফেরা চুঁচুড়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।যারা সারা বছর অন্ধত্ব দূরীকরনে কাজ করে চলে। কর্নিয়া সংগ্রহ করে মেডিকেল কলেজে দিয়ে আসে।তাদের উদ্দেশ্য দৃষ্টিহীন মানুষদের চোখে আলো ফেরানো। নিরলস এই কাজে জয়ন্ত বাবুর মত আরো কয়েকজন প্রবীণ মানুষ রয়েছেন। চুঁচুড়ার হরিদ্রাডাঙ্গার বাসিন্দা সৌম্য চক্রবর্তীর সঙ্গে বিবাহ হয় গার্গী ঘনাই এর। গত ২২ শে জানুয়ারি তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বুধবার ছিল তাদের ফুলসজ্জা। এমন দিনে চুঁচুড়া আলোয় ফেরার উদ্যোগে এই দম্পতি চক্ষু দানের অঙ্গীকার বব্ধ হন।আলোর ফেরার সম্পাদক উদয় কুমার পাল দুজনকে অঙ্গীকার পত্রে সই করান। চক্ষুদানের মত মহৎ কাজে উৎসাহী এই দম্পতি।তাদের মতে মরণোত্তর চক্ষুদানে সামিল হতে পেরে তারা খুশি।

সমাজে এই ধরনের কাজে যাতে আরও মানুষ এগিয়ে আসে তার জন্যই এই পদক্ষেপ। চুঁচুড়া আলোয় ফেরা ২০১৮ সাল থেকে চক্ষুদানের সচেতনতা নিয়ে কাজ করছে। এখনো পর্যন্ত ৫০ জনের মরণোত্তর কর্নিয়া সংগ্রহ করেছে। চক্ষুদান ও দেহদানের জন্য কাজ করে সারা বছর। এই কাজে সহযোগিতা করে শ্রীরামপুর সেবা কেন্দ্র আই ব্যাংক।চুঁচুড়া আলোয় ফেরার সম্পাদক ড: উদয় কুমার পাল বলেন, চুঁচুড়া ব্যান্ডেল চন্দননগর শহরের মরণোত্তর চক্ষুদানের আবেদন ও সচেতনতা মূলক প্রচার করা হয়। আমাদের পরিচিত জয়ন্ত গনাইয়ের মেয়ে গার্গী সঙ্গে চুঁচুড়ারই সৌম্য চক্রবর্তী সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয়।তখন থেকেই আমাদের সংস্থার তরফে চক্ষুদানের জন্য আবেদন করা হয়। আজ সকলের সামনে আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে চক্ষুদানে অঙ্গীকার বব্ধ হল।এতে বিবাহের সমস্ত মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছাল এই মহৎ কাজের।আমরা চাই সৌম্য ও গার্গীর মতো নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসুক সকলে।