এই মুহূর্তে কলকাতা

রাজ্যের বকেয়া নিয়ে বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক আগামীকাল।

কলকাতা, ২২ জানুয়ারি:- ২৩ জানুয়ারি নেতাজি জয়ন্তীর দিনে বাংলার রাজ্যের বকেয়া নিয়ে বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক। বিভিন্ন দফতরের সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন কেন্দ্রের আধিকারিকরা। রাজ্যের বকেয়া নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্যা সমাধানে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই প্রশাসনের আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠকের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রীই। এবার সেই বৈঠকই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামিকাল। যদিও নবান্নের আধিকারিকদের দাবি, যতই বৈঠক হোক না কেন, বাংলার যা বকেয়া আছে তা রাজনৈতিক কারণেই ২৪’র ভোটের আগে কেন্দ্র সরকার ছাড়বে না। মোদি ও বিজেপি যদি ২৪’র ভোটে জেতে তাহলে টাকা আটকানোর ঘটনা আরও বাড়বে। কার্যত বাংলাকে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাই যেনতেন প্রকারণে বাংলাকে অর্থনৈতিক ভাবে অচল করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে চলেছে মোদি সরকার। গেরুয়ায় শিবিরের ধারণা বাংলাকে অর্থনৈতিক ভাবে অচল করে দিলে ২০২৬’র বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখল সহজ হবে বিজেপির কাছে।

একুশের ভোটের আগে বাংলায় শ্লোগান উঠেছিল ‘আবকে বার ২০০ পার’। সেই শ্লোগানের নেপথ্যে ছিল উনিশের লোকসভা ভোটের সাফল্য। কেননা সেই নির্বাচনে বিজেপি যেমন বাংলা থেকে ১৮টি আসন জিতে ইতিহাস গড়েছিল তেমনি রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৩৬টি আসনে তাঁরা লিড তুলেছিল। কিন্তু সেই সাফল্যের বিন্দুমাত্র রেশ চোখে পড়েনি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। মাত্র ৭৭টি আসন পেয়েই দৌড় থেমেছিল বিজেপির। পরে সেই আসন আরও কমেছে। কার্যত একুশের ভোটের পর থেকেই বাংলার মাটিতে ধারাবাহিক ভাবে হেরে চলেছে বিজেপি। কোনও মন্ত্র, কোনও টোটকাতেও কাজ দিচ্ছে না। বাংলার বুকে বিজেপি এখন কার্যত প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। তাঁদের শেষ আশা, যদি ২৪’র ভোটে দল জেতে এবং তারপর বাংলার বুকে আবারও সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া যায়। আর তার জন্য, বাংলাকে অর্থনৈতিক ভাবে অচল করে দেওয়া, পঙ্গু করে দেওয়া গেরুয়া শিবিরের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আগামিকাল যা বৈঠক হোক না কেন, বকেয়া যে খুব সহজে মিলবে, এমনটা মোটেও মনে করছেন না নবান্নের আধিকারিকদেরই একটা বড় অংশ। এই বৈঠক কার্যত লোক দেখানো বৈঠক ভিন্ন আর কিছুই নয়।