হুগলি, ১২ জানুয়ারি:- ঘটনাটি বৈদ্যবাটী পুরসভায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরকডাঙ্গা এলাকার। সেখানেই রাতের অন্ধকারে নিচু জমি ভরাট করে প্লটিং করা অভিযোগ উঠল। এই জায়গা ভরাট করার জন্য মাটি আনার সময় বিভিন্ন জায়গায় মাটি পড়তে থাকে ,ফলে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে এই ঘটনা এবং ওই এলাকাতেই রয়েছে দুটি স্কুল। এ বিষয়ে স্থানীয়রা কাউন্সিলারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাউন্সিলার পুরসভায় অভিযোগ জানায়। পুরসভার তরফ থেকে তদন্তের জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের সেখানে পাঠানো হয়। স্থানীয়রা জানান এখানে দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটা ছিল সেই নিচু জমিতে গঙ্গার জোয়ারে জল ঢুকিয়ে পলি ঢোকতো।সেই জায়গাটায় তারা ভরাট করে প্লটিংয়ের করার চেষ্টা করছে।
তাদের অভিযোগ রাতের অন্ধকারে গাড়িতে করে সেই মাটি আনার সময় রাস্তায় নরম মাটি পড়ছে এর ফলে সেই মাটিতে জল পড়লেই নিত্য ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাদের দাবি অবিলম্বে বেআইনি কাজ বন্ধ করা হোক। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাখি সাধুখাঁ জানান কদিন আগে স্থানীয়রা আমাকে খবর দিয়েছিল এখানে গাছ কাটা হচ্ছিল আমি পুরপ্রধান কে বলে গাছ কাটা বন্ধ করিয়েছি আমি বেশ কিছুদিন ছিলাম না এসে শুনছি এখানে মাটি ফেলা হচ্ছে রাস্তায় ভর্তি মাটি পড়ে আছে আর এখানে পাশেই দুটি স্কুল আছে এই মাটিগুলোর ওপরে যদি জল পড়ে স্কুলের বাচ্চাদের কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি পুরসভায় চিঠি করেছি পুরপ্রধান যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন।
বৈদ্যবাটী পুরসভার পূর্ত দপ্তরের কর্তা সুবীর ঘোষ জানান বর্তমান বিধায়ক পুরপ্রধান থাকাকালীন ২০১৩ সালে বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদিত হয় এক বিঘে বা তার বেশি জায়গা প্লটিং করতে গেলে পুরসভা থেকে মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন নিতে হবে। সেইটা আগে দেখতে হবে সেই জমিটা মাস্টারপ্ল্যান আছে নাকি যদি না থাকে তাহলে আমরা কাজ বন্ধ করে দেবো। মাটি ফেলে নিচু জমি ভরাট করার বিষয় পুরসভাকে জানানো উচিত ছিল কিন্তু পুরপ্রধানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন তিনি কিছু জানেন না। পুরসভার তরফ থেকে তদন্তের জন্য ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হয়েছে তারপরে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈদ্যবাটী পুরসভার উপপুরপ্রধান শান্তনু দত্ত জানান ওই ওয়ার্ডের পুর সদস্য লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন এবং ওখানে দুটি স্কুল আছে তাই রাস্তার ওপর যে মাটি পড়ছে সেটাই মূল সমস্যা। জানা গেছে গঙ্গার ধারে যে নিচু জমি আছে সেটা ভরাট করার জন্যই মাটি আনা হচ্ছে তাই জন্যই সারা রাস্তায় মাটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে এটা খুবই বিপদজনক। পুররসভা জানবে না কিন্তু তার রাস্তার উপর দিয়ে মাটি পড়তে পড়তে যাবে এটা ঠিক নয় এবং গঙ্গার পাড়ে যদি কেউ অবৈধভাবে নির্মাণ করে তাহলে সেটা আগে জানতে হবে তার অনুমতি আছে নাকি যদি না থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।