এই মুহূর্তে জেলা

মায়ের সই জাল করে পলিসির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে।


হুগলি, ২৯ ডিসেম্বর:- সাইবার প্রতারণার ঘটনার কথা মাঝে মাঝে সামনে আসে। গ্রাহকদের বোকা বানাতে একাধিক কৌশলকে হাতিয়ার করে প্রতারকরা। কয়েকমাস আগেও বায়োমেট্রিক প্রতারণার একের পর এক ঘটনা আতঙ্ক বাড়িয়েছিল গ্রাহকদের। কিন্তু, তারকেশ্বরে ঘটেছে অবাক করা ঘটনা। এবার ছেলের প্রতারণার শিকার মা। বিমা কোম্পানির এজেন্টের মাধ্যমে মায়ের সই জাল করে পলিসির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তারকেশ্বর থানা এলাকার মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারা বিবি খোদ নিজের সন্তানের প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার বাসিন্দা তারক পাত্র নামের এজেন্টের থেকে দু’টি পলিসি কিনেছিলেন তিনি। বছরে দু’বার তারকের কাছে প্রিমিয়ামের টাকা জমা করতেন আনোয়ারা। প্রত্যেক বছর প্রিমিয়াম বাবদ ২৩ হাজার টাকা দিতে হত। সম্প্রতি ওই পলিসি বন্ড জমা রেখে ঋণ নেন আনোয়ারা। ঋণের টাকা শোধ হওয়ার পর ১২ ডিসেম্বর পলিসির টাকা জমা করতে গিয়ে মাথা বাজ পড়ে তাঁর। টাকা জমা করতে গিয়ে তিনি দেখেন, নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই তাঁর সই নকল করে পলিসির টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

ছেলে জাভেদ মণ্ডলের সঙ্গে খোলা জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢুকেছে। এমনকী ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর ছেলে জাভেদ টাকা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও আনোয়ারা বিমা কোম্পানির এজেন্টকেই দায়ী করেছেন। ছেলে নয়, বরং বিমা কোম্পানির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তিনি। আনোয়ারা বলেন, ‘বিমা কোম্পানির গাফিলতি রয়েছে। আমার সই যাচাই না করে কী ভাবে টাকা পাঠাল? এজেন্ট আমার ছেলের সঙ্গে যোগাসাজোশ করে আমার সই নকল করে জমা দিয়েছেন। আমার ছেলে অন্য রাজ্যে সোনার কাজ করে। আমি পুলিশ ও বিমা কোম্পানিকে অভিযোগ জানিয়েছি। এবার দেখা যাক, কী হয়।’ এজেন্ট বলেন, ‘সই সঠিক মনে হওয়ার কারণে আমি তা অফিসে জমা দিয়েছি। সই যাচাই করার দায়িত্ব বিমা কোম্পানির, আমার নয়। এমন ঘটনা সত্যি হয়ে থাকলে মানুষের বিশ্বাস বিমা কোম্পানির উপর নষ্ট হবে। অভিযোগ সত্যি হলে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ বিমা সংস্থার স্থানীয় শাখার ম্যানেজার নিখিলেশ বিশ্বাস জানিয়ছেন, তাঁর কাছে এখনও কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।