হুগলি, ২৯ ডিসেম্বর:- পিটুনিয়া ফুলের চাষ এখন উপার্জনের নতুন পথ দেখাচ্ছে হুগলি জেলার ফুল চাষীদের। পিটুনিয়া চাষ করে শীতের মরশুমে লাভের মুখ দেখছে ফুল চাষীরা। শীতের বাগান ফুলের সজ্জায় সাজিয়ে তুলতে পিটুনিয়ার জুড়ি নেই। হলুদ, সাদা, লাল, বেগুনি, গোলাপি, ঘিয়ে প্রভৃতি রঙ আছে; সব রঙেরই পিটুনিয়া পাওয়া যায়। তার প্রতিটি রঙের বিভিন্ন শেড যেমন পাওয়া যায়, তেমনি পাওয়া যায় দুই রঙের পিটুনিয়াও। তাই তার এমন বিবিধ রঙের বিচিত্র বাহারকে কাজে লাগিয়ে অপূর্ব সুন্দরভাবে সাজিয়ে নেওয়া যায় সাধের ছাদ ও ব্যালকনিবাগান। পিটুনিয়া যেহেতু গুচ্ছমূলজাতীয় ফুলের গাছ, তাই এদের হ্যাঙ্গিং পটে খুব ভালোভাবে চাষ করা যায় এবং বারান্দা ও ব্যালকনিতে ঝুলিয়ে রেখে অসাধারণ সৌন্দর্য সৃষ্টি করা যায়। এই পিটুনিয়া এবার চাষ করছেন হুগলির গোঘাটের শ্যামবাজার পঞ্চায়েতের বেলডিয়া এলাকায় কৃষক তারকনাথ গায়েন। তিনি এই চাষ করে বাজারে বিক্রয় করে ব্যাপক লাভের আয়ের পথ দেখছেন। আট থেকে দশ ইঞ্চি টবে বা পটে এই চারা রোপণের জন্য উদ্যোগ নিন। পিটুনিয়া ঝোপযুক্ত গাছ এবং তার শেকড় যেহেতু গুচ্ছমূল, চারপাশে ছড়ায়, নীচের দিকে বেশি যায় না।
পিটুনিয়া দোআঁশ মাটিতে ভালো হয়। দেড় ভাগ এঁটেল মাটির সঙ্গে দেড় ভাগ বালি। প্রয়োজনীয় দোআঁশ মাটি তৈরি হয়ে যাবে। এই মাটি আদর্শ, কেননা এর জলধারণ ক্ষমতা কম। গাছের গোড়ায় জল জমে থাকাটা পিটুনিয়া একদম পছন্দ করে না।খোলপচা জল দেওয়ার পাশাপাশি পনেরো দিন পর পর এক চামচ ইউরিয়া, দু’চামচ পটাশ আর আট চামচ সিঙ্গল সুপার ফসফেট গুঁড়ো একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে টব প্রতি গাছের গোড়া থেকে দূরে এক চামচ করে ছড়িয়ে মাটি খুঁচিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবেন। যখন এই সার দেবেন, তখন মাটি যেন হালকা ভেজা ভেজা থাকে। ব্যস, এভাবে জৈব ও রাসায়নিক খাবার নিয়ম করে দিয়ে গেলেই হবে, এর বাইরে আর কিছু দিতে হবে না। তাতেই প্রচুর ফুল হবে। এই বিষয়ে কৃষক তারকনাথ বাবু জানান বিভিন্ন রকমের ফুল গাছ দেখেছিলাম। কিন্তু এই পিটুনিয়া মনে হল নতুন ফুল তাই নিজের নার্সারিতে লাগিয়েছিলাম। এখান থেকে একদিকে যেমন ফুল গাছ বিক্রয় করতে পারবে ঠিক অন্যদিকে চারা গাছ বাজারে বিক্রয় হচ্ছে। তাতে করে অন্যান্য চাষে থেকে এই ফুল চাষ করে ব্যাপক লাভ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও এই ফুলের চাষ এখন অন্য চাষীদের উপার্জনের নতুন পথ দেখাচ্ছে।