এই মুহূর্তে জেলা

বর্ধমানের দুর্ঘটনার পরেও উদাসীন রেল, উত্তরপাড়া স্টেশনে জরাজীর্ণ ট্যাঙ্ক তারই প্রমাণ।

হুগলি, ১৪ ডিসেম্বর:- বুধবার বর্ধমান রেল স্টেশনে, জলের ট্যাংক ভেঙে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু রেল রয়েছে একই জায়গায়। রেলের যাত্রী সুরক্ষা অথৈ জলে। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেল এরকম একটি জলের ট্যাঙ্ক বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে উত্তরপাড়ার স্টেশনে। এখানকার টিকিট কাউন্টারের পাশে জীর্ণ অবস্থায় রয়েছে জল ট্যাংকটি।দীর্ঘদিন নেই কোনো সংস্কার। আর সেখান দিয়েই নিত্যদিন বহু মানুষ যাতায়াত করছেন। জলাধারে দেওয়াল থেকে চাঙ্গর খসে খসে পড়ছে, যে কোন মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা হবার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরপাড়ায়। কিন্তু সব জেনেও চুপ রেল মন্ত্রক। বুধবার বর্ধমান স্টেশনের ঘটনার পর উত্তরপাড়া স্থানীয় মানুষজন অফিস যাত্রী নিত্যযাত্রীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে এখানে বিপজ্জনক অবস্থায় যে জলাধারটি রয়েছে তা ভেঙে পড়ে মানুষের প্রাণের আশঙ্কা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরপাড়া স্টেশনে গিয়ে দেখা গেল টিকিট কাউন্টারের পাশে একটি উঁচু টাওয়ারের উপর ট্যাংক টি রয়েছে, দীর্ঘদিন পরিচার্য না হওয়ার কারণে ট্যাংকের গা থেকে চাঙ্গর খসে খসে পড়ছে, হাওড়া বর্ধমান মেন শাখার উত্তরপাড়া স্টেশনে একটি অত্যন্ত জনবহুল রেলস্টেশন।

এখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার নিত্য যাত্রী, অফিস যাত্রী, কারখানার শ্রমিক এবং স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী পড়ুয়ারা স্টেশনের এই পথ দিয়ে যাতায়াত করেন, তাদের বক্তব্য অবিলম্বে রেল কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়টা দেখতে হবে। কারণ বর্ধমানের যে মর্মান্তিক ঘটেছে তা এখানেও যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো সময় ঘটতে পারে, তাই আমরা রেল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করছি যে এই জল ট্যাঙ্কটা অবিলম্বে এখান থেকে সরিয়ে দেয়া হোক অথবা এটিকে সংস্কার করে নতুনভাবে তৈরি করা হোক। এক নিত্য যাত্রী রূপেশ ঘোষ বরুণ দাস, জানান কিছুদিন আগেই এখন থেকে একটা বড় চাঙ্গর খসে পড়েছিল, খুব অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিল কয়েকজন মানুষ। নিত্যযাত্রীরা আরো জানান রেলের পক্ষ থেকে মাঝে একবার সারাই করার জন্য এসেছিল, কিন্তু তারপরে অজ্ঞাত কারণে তারা চলে যায়, তখন থেকে এই অবস্থা পড়ে রয়েছে, তাদের সাফ কথা, নয় এটিকে ভেঙে নুতন ভাবে তৈরি করা হোক অথবা এখান থেকে সরানো হোক, কারণ এই অবস্থায় এটি থাকলে যে কোন মুহূর্তে যেকোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে এবং বর্ধমানের যে ভয়াবহ স্মৃতি সেটা আবার ফিরে আসতে পারে। কিন্তু বর্ধমানের এমন এক মর্মান্তিক দূর্ঘটনার পরেও কেনো রেল এই বিষয়ে উদাসীন তার কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।