হুগলি, ২৯ নভেম্বর:- উত্তরকাশির সুড়ঙ্গে ১৭ দিন ধরে আটকেছিল ছেলে। অবশেষে ১৭ দিনের মাথায় মুক্তি, তবে পুনরজ্জীবন পেয়েও এখন বাড়ি আসতে চায় না সে। কারণ কাজের যে বড় টান! ১৭ দিন ধরে আটকে থাকার পরেও কেবলমাত্র মোবাইলের ভিডিও কলেই মা এবং পরিবার-সহ আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলেই আপাতত খুশি সে। পুনরায় সে তার কাজে যোগ দিতে চায়। হুগলির পুড়শুড়ার নিমডিঙির বাসিন্দা জয়দেব পরমাণিক । বেশ কয়েক বছর আগেই কাজের সুবাদে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। তার দাদাও রয়েছেন কাজের সুবাদে ভিন রাজ্যেই। উত্তরকাশির সুড়ঙ্গে কাজ করার সময় হঠাৎই নামে ধস। আর সেই কারণেই টানা ১৭ দিন আটকেছিল সেই সুড়ঙ্গের মধ্যেই সে এবং বাংলার আরও দুই শ্রমিক।
খবর জানাজানি হতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। মা তপতি মন্দিরে গিয়ে কেবল ছেলের জন্য প্রার্থনাই করে যেতেন, যাতে ছেলে সুস্থ ভাবে মায়ের কাছে ফিরে আসে। তবে সুস্থ হয়ে সুড়ঙ্গ থেকে ফেরা হলেও ছেলে বাড়ি আসতে চায় না। পুনরায় সে যোগ দিতে চায় কাজে। তাপস ও তপতির ছেলে জয়দেব উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হওয়া ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে অন্যতম৷ মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়ার পর মা তপতিদেবী-সহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন জয়দেব ৷ মাকে আশ্বস্ত করে ছেলে জানান, তাঁর শরীরে কোনও সমস্যা নেই৷ আগের মতোই সুস্থ আছেন তিনি৷ তবে এখনই সে বাড়ি আসতে পারছে না। পুনরায় কাজে যোগ দেবে সে। এরপর সঠিক সময় ছুটি নিয়ে সে আসবে তার পরিবারের কাছে। তাঁর এই অসীম সাহস আর কাজের নিষ্ঠায় আপ্লুত তার পরিবার-সহ গোটা দেশ।