এই মুহূর্তে কলকাতা

সবুজ বাজি চেনাতে রাস্তায় দুই বাজি পাগল।

কলকাতা, ১০ নভেম্বর:- কালীপুজোর মরশুমে চারিদিকে কান পাতলেই শোনা যায় সবুজ বাজি পরিবেশের পক্ষে ভালো। কিন্তু এই সবুজ বাজি আসলে কি?? রাজ্যের একাধিক বাজি বাজারের সামনে ভিড় করা মানুষের এখন একটা প্রশ্ন সবুজ বাজি চিনব কি করে?উত্তর কলকাতায় টালা বাজি বাজারের সামনে দেখা মিলল এমন বেশ কয়েক জনের চন্দননগরের পাল পাড়ায় থাকেন শ্রীকান্ত গোস্বামী, পেশায় ব্যাংক কর্মী। কর্ম সূত্রেই আসেন বেলগাছিয়ায়। বাড়ির জন্য বাজি কিনতে এসে ধন্ধে ছিলেন কিভাবে চিনবেন সবুজ বাজি। এগিয়ে এলেন সবুজ বাজি নিয়ে লড়াই করা দুই ব্যক্তি। প্রথম জন পশ্চিমবঙ্গ বাজি বাজার উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না। দ্বিতীয় ব্যক্তি এই টালা বাজি বাজারের একমাত্র “নেরির” সার্টিফিকেট প্রাপ্ত প্রস্তুতকারক টুম্পা ফায়ার ওয়ার্কস এর কর্নধার সন্দীপ বসু। শুভঙ্কর মান্না বলেন ” প্রথম বিষয় মাথায় রাখতে হবে বাজির প্যাকেটের গায়ে দেখতে হবে কিউ আর কোড আছে কি না। যদি থাকে এবার তাহলে কি করতে হবে।পকেটের ফোন বের করে সেখানে ” নেরি সিএসআইআর গ্রিন কিউ আর” অ্যাপস থেকে ওই কিউ আর কোড স্ক্যান করলেন তিনি। এরপর মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে উঠে এলো একটি সাদা সবুজ রঙের সার্টিফিকেট। ক্রেতা প্রশ্ন করলেন এটা আবার কি? শুভঙ্কর মান্না জানালেন “এখানেই লেখা আছে এই বাজির ঠিকুজি,অর্থাৎ কোম্পানির নাম, বাজির চরিত্র, কোথায় অভিযোগ করতে হবে, যদি কোনো সমস্যা হয়,সব কিছু”।

টুম্পা ফায়ার ওয়ার্কস এর কর্নধার সন্দীপ বসু একাধিক বাজির বাক্স গোছাতে গিয়ে বলছিলেন এই কিউ আর কোড চার রকমের হবে। ১)ফুলঝুরি, ২) রং মশাল, ৩)ফুলঝুরি, ৪) তুবড়ি।বারংবার সাবধান করছেন দোকানে আসা ক্রেতাদের। বলছেন স্ক্যান করে দেখে নিয়েই তবে বাজি নিন। ক্রেতাদের সাহায্য করতে আবার সঙ্গে রেখেছেন ছেলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র অপরাজয় চন্ডী বসুকে। ঝকঝকে তরুণ প্রজন্মের ছেলে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিচ্ছেন লাইসেন্স কিভাবে আসছে। সকলকে বুঝিয়ে বলছেন নিজেদের সুরক্ষার জন্যই সবুজ বাজি কেনা দরকার। কিন্তু এই অ্যাপস কিভাব পাব? প্রশ্ন করলেন শ্যামবাজারের অপূর্ব পূরকাইত, সঙ্গে সঙ্গে হাত বাড়িয়ে ফোন নিয়ে “প্লেস্টোর” থেকে ইনস্টল করে দিচ্ছেন অ্যাপস টি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে জানবাজারে গিয়ে বলেছিলেন ” সবুজ বাজি পোড়ানোর কথা। একই কথা বলছেন শুভঙ্কর মান্না, সন্দীপ বসুরা। কতটা সফল হলেন তারা?আক্ষেপের সুরে দুজনের বলছেন ” হয়ত সব মানুষকে এখনো সচেতন করে উঠতে পারলেন না কিন্তু আগামী বছরের মধ্যে সিংহভাগ মানুষকে বুঝিয়ে দেবেন সবুজ বাজি কি? কিভাবে চিনবেন”। টালা বাজি বাজারে দাড়িয়েই ঠিক করে ফেললেন আগামী দিনের কর্মসূচি কিভাবে সহজ করে মানুষকে বুঝিয়ে উঠবেন সবুজ বাজি চিনবেন কি করে।