হুগলি, ৭ নভেম্বর:- বৈদ্যবাটিতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে নিখোঁজ চাঁপদানীর যুবতী, পনেরো দিন পর দেহ উদ্ধার হল শ্রীরামপুর দে স্ট্রীটের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ওয়ালস হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠায়।মৃত্যু রহস্য জনক দাবী পরিবারের। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভদ্রেশ্বর থানার চাঁপদানী ২৭ এস এম রোডের বাসিন্দা নীতু কুমারী(২৮) নবমীর দিন গত ২৩ অক্টোবর মায়ের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। বৈদ্যবাটি রেলগেটের কাছ থেকে নিখোঁজ হন। ২৬ তারিখ ভদ্রেশ্বর থানায় নিখোঁজ ডায়রি করে যুবতীর পরিবার। পনেরো দিন পর তার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয় শ্রীরামপুরে। শ্রীরামপুর দে স্ট্রীটে টেক্সটাইল কলেজের পিছনে ঝোপ জঙ্গলে ঘেরা পরিত্যক্ত একটি বাড়ি থেকে গতকাল মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশ খবর দেন স্থানীয়রা।
মৃতদেহের কাছে পরে থাকা একটি পার্সে যুবতীর আধার কার্ডের জেরক্স ছিল। তা দেখে যুবতীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।আজ মৃতদেহ শনাক্ত করে পরিবার। চাঁপদানী পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দারোগা রাজভর বলেন, যুবতীর বাড়ি চাপদানিতে বৈদ্যবাটি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হল শ্রীরামপুরে এখানেই রহস্য। তাকে জোর করে কেউ নিয়ে গিয়ে মেরে দিয়ে থাকতে পারে।আমরা চাই পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে আসল সত্যিটা উদঘাটন করুক। কেউ দোষী থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। যুবতীর দাদা কৃষ্ণা রায় বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশকে আমরা জানাই। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন শ্রীরামপুরে দেখিয়েছিল। তারপর অনেকদিন আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজকে থানা থেকে ফোন করে আমাদের ডেকে বলে মৃতদেহ পাওয়া গেছে। আজ দেহের ময়নাতদন্ত হয়নি।আগামীকাল হবে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে। আমরা চাই ঘটনা সত্যিটা কি তা বেরিয়ে আসুক। আমার বোনের মত আর কারও সঙ্গে যেন না হয়। যুবতীর রহস্য মৃত্যুতে অভিযোগ দায়ের করেছে তার পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর কারন।