এই মুহূর্তে জেলা

টুনির আলোয় অনেকটাই ম্লান দীপাবলির প্রদীপ।

হুগলি, ৩ নভেম্বর:- দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। সেই আলোর উৎসবে মেতে ওঠার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। একটা সময় দীপাবলি উপলক্ষে বাড়িকে আলোকিত করতে প্রদীপ জ্বালানোর প্রচলন ছিল। তবে এলইডি আলোর সময় অনেকটাই দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে মাটির প্রদীপ। আর যারা প্রদীপ তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের জীবন খানিকটা প্রদীপের নীচে কালো অন্ধকারের মতো। তবে ফের মাটির প্রদীপের দিকে মুখ ফেরাচ্ছে মানুষ। চাহিদা আছে তবে যোগান নেই কারণ কাজের লোক সংখ্যায় কম। একটা সময় হুগলির শেওড়াফুলির পাল পাড়ায় প্রতি ঘরে ঘরে কালীপুজোর আগে তৈরি হত মাটির প্রদীপ। সেই প্রদীপ যেত জেলা ছাপিয়ে জেলার বাইরের বাজারে। তবে এখন পালপাড়ার কুমোররা অনেকেই মাটির প্রদীপ বানানো বন্ধ করে দিয়েছেন। হাতেগোনা কয়েকটি ঘর রয়েছে যেখানে তৈরি হচ্ছে দীপাবলি উপলক্ষে মাটির প্রদীপ।

এই বিষয়ে এক কুমোর কানাই পাল বলেন,” প্রদীপের চাহিদা আছে৷ আমাদের ছেলেরা এই কাজে আসতে চাইছে না৷ কারণ আমরা যে কাজ করছি, সরকার আমাদের পাশে নেই৷ মাটির লরি আসছে, তাতে পয়সা দিতে হচ্ছে। সেই পয়সাটা আমাদের ঘাড়ে চাপছে। লাভ সেই ভাবে হচ্ছে না৷ ছোটবেলা থেকে করে আসছি, তাই নেশা হয়ে যাচ্ছে। হাজার প্রদীপ ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব জিনিসে দাম বাড়ায় কোনওরকম ভাবে চলে যাচ্ছে। রাম বিলি পণ্ডিত মৃৎশিল্পী বলেন, ”পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ প্রদীপ এবারে তৈরি হচ্ছে। মাটি, কাঠ কয়লার দাম বাড়ার কারণে সেইভাবে আয় হচ্ছে না। সারাদিনে ১২-১৩ ঘণ্টা কাজ করি। ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা রোজগার হয়। কালীপুজো, দীপাবলি এলে বেশি পরিশ্রম করলে বেশি পয়সা পাওয়া যায়। সরকারি কোনও সাহায্য পাওয়া যায় না। আমাদের আবেদন সরকারের কাছে, বছরে কিছু না কিছু দেওয়া হোক।”