কলকাতা, ১৩ অক্টোবর:- সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কৃষকদের নষ্ট হওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে ডিভিসির বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ায় প্লাবনে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের একাধিক জেলায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের আওতায় ওই সব নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণ নভেম্বর মাসের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে বলে রাজ্যের কৃষি দফতর নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই কৃষি দফতর শস্য হানির প্রাথমিক পর্যালোচনা করেছে। যার পরিমাণ প্রায় ১৮০ কোটি টাকা। সম্প্রতি রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জেলা স্তরের কৃষি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বীমা সংস্থা গুলির মাধ্যমে দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দেন। প্রাথমিক অনুমান অনুসারে, উত্তর বঙ্গের পাঁচ জেলার ৩০ টি ব্লকে মোট ৭৪ হাজার ৩৫৩ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
দক্ষিণবঙ্গে, আটটি জেলার ৩২ টি ব্লকের ৮২ হাজার ২১৭ হেক্টর ফসলি জমিতে শস্য হানির খবর মিলেছে। এর মধ্যে হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ি থেকে সর্বাধিক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। বাকি ফসলের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে কৃষি দফতরের বিশেষজ্ঞ এবং সিনিয়র আধিকারিকদের নেতৃত্বে ছয়টি রাজ্য-স্তরের দল গঠন করা হয়েছে। যারা মাঠের মূল্যায়ন করবে ফসল বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে পরামর্শ দেবে। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য বিকল্প ফসল চাষের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে পাঠাতে প্রত্যেক জেলার কৃষি অধিকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় বীজ বিতরণ করা যায়। হাইব্রিড সরিষা, চীনাবাদাম, বোরো ধান, তিল, গ্রীষ্মকালীন ভুট্টা ইত্যাদি বিকল্প ফসল চাষের উদ্যোগ নেওয়া নিয়েছে।