কলকাতা, ৫ অক্টোবর:- হাওড়া ব্রিজের কাঠামোগত নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে খুব শীঘ্রই সেফটি অডিট শুরু হবে। সেতু চালু রেখেই তার অবস্থা খতিয়ে দেখা হবে বলে কলকাতার শ্য়ামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর সূত্রে জানা গেছে। দীর্ঘ দু’দশক পর হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা হেলথ অডিট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইআইটি চেন্নাই এবং জাহাজ মন্ত্রকের অধীনস্থ এনটিসিপিডব্লিউসি যুগ্মভাবে হাওড়া ব্রিজের স্টাডিস রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই হেলথ অডিট শুরু করা হবে। পাশাপাশি হাওড়া থেকে কলকাতা গঙ্গার নীচ দিয়ে ভূগর্ভস্থ পথ তৈরির ব্যাপারেও পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। কলকাতা পোর্ট সূত্রে খবর, ২০০২-০৩ সালে শেষ বারের মতো হাওড়া ব্রিজের স্টাডিস রিপোর্ট তৈরি করে ২০০৪ সালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছিল।
সেই সময় এই ব্রিজের তেমন কোন খুঁত পাওয়া যায়নি। কিন্তু গত কয়েক বছরে ছোটখাটো যানবাহন থেকে শুরু করে ভারী যানবাহনের যাতায়াতের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণে লোহার কাঠামো এবং হাওড়া ব্রিজ যে স্তম্ভের উপরে দাঁড়িয়ে আছে তা খতিয়ে দেখা জরুরি হয়ে পড়েছে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের হিসাব বলছে, হাওড়া সেতুর ওপর দিয়ে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে মিনিটে ৫৫০ টি গাড়ি যায়। তাই এটার গুরুত্ব অন্যান্য সেতুর তুলনায় সর্বাধিক। বর্তমানে গাড়ির চাপ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। যে কারণে শতাব্দী প্রাচীন এই হাওড়া ব্রিজের অবস্থা কি রকম রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা আবশ্যিক হয়ে পড়েছে। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট সূত্রে খবর,
মূলত হাওড়া ব্রিজের লোহার কাঠামোকে প্রতিটি কোনা এবং অন্যান্য অংশ বিশেষকে পরীক্ষা করাই এই স্বাস্থ্য অডিটের মূল উদ্দেশ্য। আইআইটি চেন্নাই দেশের বিভিন্ন বৃহত্তম সেতুগুলির স্বাস্থ্য অডিট করে থাকে। তাই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদেরই এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই হাওড়া ব্রিজের ভার কমাতে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেতুর ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে পুরনো ম্যাস্টিক অ্যাসফল্টের স্তর সম্পূর্ণ ভাবে তুলে ফেলে ২৫ মিলিমিটার পুরু একটি আস্তরণ দেওয়া হবে। প্রায় ৬০০ মিটার দীর্ঘ এবং ২৩ মিটার চওড়া হাওড়া সেতুর প্রস্থের গোটা অংশ জুড়েই এই কাজ হবে। এর আগে রাইটস ২০০৩ সালে এই হেলথ অডিটের কাজ করেছিল।