এই মুহূর্তে জেলা

বাংলার ই-রিক্সা পাড়ি দিচ্ছে এবার আফ্রিকা।



হুগলি, ২ অক্টোবর:- বাংলার ই-রিক্সা পারি দিচ্ছে আফ্রিকা। হুগলির সুগন্ধায় তৈরী ই-রিক্সা চলবে ঘানার রাস্তায়। সম্প্রতি লগ্নি আনতে স্পেনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেখানে গিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী ঘোষণা করেছিলেন মেদিনীপুরে তৈরী হবে ইস্পাত কারখানা। কর্মসংস্থান হবে বাংলায়।তা নিয়ে নানা কথা ওঠে। সিঙ্গুর থেকে টাটা বিদায়ের পর আর তেমন বলার মত কোনো বড় শিল্প রাজ্যে আসেনি বলে অভিযোগ শোনা যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে ক্ষুূ্দ্র শিল্প উন্নতি করছে ধীরে ধীরে। হুগলি মোটরস তেমনই ক্ষুদ্র শিল্প। পোলবার সুগন্ধায় দিল্লী রোডের ধারে কারখানায় শ’ দুয়েক লোক কাজ করেন। সেই কারখানাতেই তৈরী ই-রিক্সা ঘানায় রপ্তানী হচ্ছে। আজই কনটেনার ভরে খিদিরপুর ডক থেকে ঘানার উদ্দেশ্যে পারি দিয়েছে ই-রিক্সা। সংস্থার কর্নধার সেখ নাসিরুদ্দিন জানান,বর্তমান সময়ে ব্যাটারী চালিত পরিবেশ বান্ধব গাড়ির চাহিদা প্রচুর।

তেলের দাম বাড়ায় ই গাড়ির চাহিদা বেড়েছে।এর বাজারও খুলেছে বিদেশে। মাস দুয়েক আগে ঘানার মাদিনার সংস্থা গোল্ডেন ওয়েবের প্রতিনিধিরা হুগলি কারখানা দেখতে আসে। তারা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ব্যবসায়ীক চুক্তি করেন। তারা জানায় আগে চীন থেকে ই-রিক্সা নিতেন কিন্তু তাদের গুনগত মান খারাপ হওয়ায় এবার ভারত থেকে ই-রিক্সা আমদানী করতে চায় তারা।সেই মত এক কনটেনার ই-রিক্সা ও ই-কার্ড পাঠানো হচ্ছে। নাসিরুদ্দিন বলেন, এর আগে নেপালে ই-রিক্সা রপ্তানী করা হয়েছে। ভারত বর্ষের প্রায় সব রাজ্যে তাদের তৈরী গাড়ি চলছে। আগামী দিনে ই-রিক্সা অন্যান্য দেশে বিক্রি করতে পারলে বিদেশী মুদ্রা যেমন আসবে আরো বেশি মানুষের কাজের সুযোগ তৈরী হবে। এর জন্য সরকার যদি ক্ষুদ্র শিল্প গুলোকে আরো একটু সাহায্য করে। জমি পাওয়া থেকে লোন পাওয়া তাহলে সুবিধা হয়।