হুগলি, ২৯ সেপ্টেম্বর:- জন্মদিনে দেশের জন্য বিশেষ প্রকল্প ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নাম দিয়েছেন পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা। কারা উপকৃত হবেন এই প্রকল্পে? ব্যাখ্যা দিয়ে প্রধান মন্ত্রী বলেছেন, দেশের বিশ্বকর্মারা। ছোট বড় ক্ষুদ্র বিভিন্ন মাপের নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত যে সমস্ত কারিগরেরা, তাঁরাই পাবেন এই প্রকল্পের সুবিধা।এই দিনেই হয় বিশ্বকর্মা পুজো। এ বছর যদিও তারিখ বদলেছে। বাংলা ক্যালেন্ডার মতে এ বার পুজো সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর। কিন্তু মোদী তাঁর বক্তৃতায় বলেছেন, রবিবার বিশ্বকর্মা জয়ন্তী। এমনকি, রবিবার নয়াদিল্লিতে যে যশভূমি কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করেছেন তিনি সেখানে পুজো ও করেছেন বিশ্বকর্মার মূর্তিতে। পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার ঘোষণাও করেছেন সেখানেই। ১৭ তারিখ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত কারিগরদের নিজেদের দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে দু’রকম প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগও রয়েছে তাঁদের। বেসিক এবং অ্যাডভান্সড। প্রশিক্ষণ চলাকালীন কারিগরদের ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার জন্য প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকার ভাউচার দেওয়া হবে। কিন্তু সেই বিশ্বকর্মা প্রকল্পে অনুষ্ঠানে না যেতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বলাগড়ের নৌ-শিল্পীরা। নৌ-শিল্পী উৎপল বারিক জানান,”কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ কারিগরি দফতর ও জেলা শাসকের দফতর থেকে তাদের কাছে জনা কয়েকজনের নাম চাওয়া হলে নাম , আধার কার্ড ও ইমেল আইডি নম্বর সহ চারজনের নাম পাঠানো হয়।শেষ ১১ সেপ্টম্বর আধিকারিকের সাথে কথা হয়। পরে তাঁরা বিস্তারিত জানাবেন বলেছেন। কিন্তু প্রশাসন আর যোগাযোগ করেনি আমাদের সঙ্গে। ইচ্ছে ছিল ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার।
প্রশিক্ষণে গিয়ে বলাগড়ের নৌ শিল্পের পরিস্থিতি নিয়ে জানাতাম।সে ভাগ্য আর হল না। নৌ-শিল্পী নিতাই প্রামানিক বলেন,”এক সময় ৩৫-৪০ টি নৌ-কারখানা ছিল। আর্থিক সমস্যার কারণে নৌকারখানা কমে গিয়ে ১৭-১৮ তে ঠেকেছে। অন্যান্য বছর জাঁকজমক করে কারখানা গুলিতে বিশ্বকর্মা পূজো হত। এবছর বিশ্বকর্মা পুজো হয়েছে নাম মাত্রায়। পূজোর সেই জৌলস আর নেই।নৌকার বিক্রি কমেছে তাই অর্থনৈতিক সমস্যাও দেখা দিচ্ছে নৌ-শিল্পীদের। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মনোনয়ন পাঠানোর পর আর কোনও খবর আসেনি। বিশ্বকর্মা প্রকল্প নিয়ে বলাগড় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন , লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্র সরকার অনেক প্রকল্পই ঘোষণা করে প্রচারের আলোতে আসতে চাইছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে কি না প্রশ্ন রয়েছে। নৌ-শিল্পীদের বিশ্বকর্মা প্রকল্পের সুবিধা দিতে কেন্দ্র সরকার নাম সহ কাগজপত্র নিয়ে। পরে নৌশিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ না করার বঞ্চিত হল। হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, শিল্পীদের কাছ থেকে যে কাগজপত্র সহ নাম নিয়েছে তা রাজ্য সরকার পাঠিয়েছে কিনা সন্দেহ রয়েছে। নৌ-শিল্পীদের কাছে যদি প্রকল্প সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র এসে থাকে তা নিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে। বিষয়টি নিয়ে দেখবো কোথায় আটকেছে বা কেন তাঁরা (নৌ-শিল্পীরা) যেতে পারলেন না প্রশিক্ষণে।